বিলকিস মামলায় ‘সুপ্রিম’ ভর্ৎসনা মুছতে চায় গুজরাট সরকার, খারিজ আর্জি

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Sep 27, 2024 | 7:04 AM

Bilkis Bano Case: ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময়ে বিলকিস বানোর বাড়িতে হামলা করেছিল ১১ জন। তাঁরা বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করে। সেই সময় ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন বিলকিস। এরপরে তাঁর চোখের সামনেই সন্তান সহ পরিবারের ৭ জনকে খুন করা হয়েছিল

বিলকিস মামলায় সুপ্রিম ভর্ৎসনা মুছতে চায় গুজরাট সরকার, খারিজ আর্জি
বিলকিস বানো।
Image Credit source: X

Follow Us

নয়া দিল্লি: বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। এই নিয়ে উঠেছিল বিতর্ক-সমালোচনার ঝড়। সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্ন উঠেছিল, কীভাবে গণধর্ষণ ও খুনের মতো নৃশংস অপরাধে জড়িতদের মুক্তি দেওয়া হয়? গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করেই বিলকিস বানোর ধর্ষকদের ফের জেলে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সিদ্ধান্তই পুনর্বিবেচনার জন্য ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল গুজরাট সরকার। তাদের এই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময়ে বিলকিস বানোর বাড়িতে হামলা করেছিল ১১ জন। তাঁরা বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করে। সেই সময় ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন বিলকিস। এরপরে তাঁর চোখের সামনেই সন্তান সহ পরিবারের ৭ জনকে খুন করা হয়েছিল। গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় সাজাও পায় অপরাধীরা। ২০০৮ সালে ১১ জন ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালে গুজরাট সরকার ‘ভাল আচরণে’র অপরাধীদের মুক্তি দেয়। তাদের মালা পরিয়ে স্বাগতও জানানো হয়।

গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারের অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় এবং অপরাধীদের ফের জেলে ফিরতে নির্দেশ দেয়। শীর্ষ আদালতের তরফে গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়েছিল।

এই খবরটিও পড়ুন

শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, আইন লঙ্ঘন দোষীদের ভুলভাবে করে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। বিচারব্যবস্থাকে অটুট রাখতে আদালতের দায়িত্ব থাকা উচিত নাহলে তা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটি বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি করবে।

অপরাধীদের মুক্তির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যেহেতু মহারাষ্ট্রে মামলার শুনানি হয়েছে, তাই একমাত্র মহারাষ্ট্র সরকারেরই অধিকার রয়েছে বন্দিদের সাজা মাফ করার। সুপ্রিম কোর্টের এই ‘ভর্ৎসনা’কে  মুছতে এবং বন্দি মুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য ফের আর্জি জানিয়েছিল গুজরাট সরকার। রাজ্য সরকারের দাবি ছিল, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ করেছিল সরকার। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট ভুল ভাবে গুজরাট সরকারকে দোষী করেছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে গুজরাট সরকারের এই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।  বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের বেঞ্চ গুজরাট সরকারের আবেদন খারিজ করে বলে, “রিভিউ পিটিশন পর্যালোচনার পর আমাদের মতে শীর্ষ আদালতের রেকর্ডে কোনও ত্রুটি নেই। এই পিটিশনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই যা আদালতকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলবে।”

Next Article