Indian Army: শুধুই নয় কাঁপুনি, সঙ্গে ঝাঁকুনিও! ভারতের এই নতুন মারণাস্ত্রের ক্ষমতা দেখে পিলে চমকে যাবে চিন-পাকিস্তানের
Indian Army: ভারতের এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র যাকে বলা হচ্ছে, Long Range Land Attack Cruise Missile বা LRLACM, তার সফল পরীক্ষা হল ওড়িশার চাঁদিপুরে ডিআরডিও-র ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে। এর গতি অবশ্য শব্দের চেয়ে কম।
কলকাতা: প্রতিরক্ষায় দেশের নতুন সাফল্য। ফের চর্চা লং রেঞ্জ মিসাইল নিয়ে। অগ্নি সিরিজের লং রেঞ্জ মিসাইলের কথা তো জানেন। তাই, আপনাদের হয়ত মনে হতে পারে যে এ আর নতুন কী! অবশ্যই নতুন। কারণ, অগ্নি হল ব্যালেস্টিক মিসাইল। মানে ছোঁড়ার পর সেটা বায়ুমণ্ডলের বাইরে চলে যায়। তারপর আবার নেমে এসে টার্গেটে আঘাত করে। ভারত এইবার যেটা পরীক্ষা করল তা হল লং রেঞ্জ ক্রুজ মিসাইল। ব্রহ্মসের কথা আপনারা জানেন। সেটা মিডিয়াম রেঞ্জ সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল।
এটা লং রেঞ্জ ক্রুজ মিসাইল। ব্যালেস্টিক মিসাইলে একবার টার্গেট সেট করে দেওয়ার পর তাকে আর বদলানো যায় না। কিন্তু ক্রুজ মিসাইল ছোঁড়ার পরও তাকে ম্যানুভার করা যায়। ক্রুজ মিসাইলে প্রিশিসন অ্যাটাক অনেক ভাল হয়। আর এই মিসাইল অনেক নিচু দিয়ে ওড়ে। ফলে, শত্রুর রেডার সহজে একে সনাক্ত করতে পারে না।
ভারতের এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র যাকে বলা হচ্ছে, Long Range Land Attack Cruise Missile বা LRLACM, তার সফল পরীক্ষা হল ওড়িশার চাঁদিপুরে ডিআরডিও-র ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে। এর গতি অবশ্য শব্দের চেয়ে কম। ব্রহ্মসের মতো শব্দের চেয়ে বেশি নয়। তবে সেন্সর, রেডারকে ফাঁকি দেওয়ার প্রযুক্তি, ট্র্যাকিং, ফ্লাইট পাথ, নিচু দিয়ে ওড়ার মতো যেসব বিষয় পরীক্ষা করার ছিল তার সবেতেই একশোয় একশো পেয়ে পাস করেছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই মিসাইল। আরও একটা সুবিধা হল, মোবাইল লঞ্চার কিংবা রণতরীর ডেক থেকে এই মিসাইল ছোঁড়া যায়। ফলে, ব্যবহার করাটাও সহজ। ডিআরডিও-র তৈরি হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই LRLACM-কে ইতিমধ্যেই এই ক্যাটিগরিতে বিশ্বসেরা আমেরিকার টোমাহক ও রাশিয়ার ক্যালিবার মিসাইলের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি নৌ সেনার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা খরচে ২০০টা LRLACM কেনা হবে।