নয়া দিল্লি: অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন অভিনেতা কমল হাসান। নিজের দলের মাধ্যমে তামিলনাড়ুতে পরিবর্তন আনার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি, কিন্তু চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে অত্যন্ত খারাপ ফলের পর দল ছাড়ছেন একের পর এক শীর্ষ নেতাই। সেই তালিকায় নাম লেখালেন সিকে কুমারাভেলও।
তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন থেকেই দবত্যাগের পালা শুরু হয়। একটিও আসনে জয় লাভ করতে না পেরে দলের ব্যর্থতার দায়ভার নিজেদের কাঁধে নিয়ে সিকে কুমারাভেল সহ মোট ছয় শীর্ষ নেতা দলের প্রধান কমল হাসানের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন।
তবে এ দিন দল ছাড়ার সময় তিনি কমল হাসানের উপরই নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের দায়ভার চাপিয়ে বলেন, “কোনও হিরোকে পুজো করতে চাই না, আমি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাই। আমাদের ইতিহাস তৈরির কথা ছিল , কিন্তু আজ আমাদেরই ইতিহাস পড়তে হচ্ছে।”
এর আগে কমল হাসানের ল মক্কাল নিধি মাইয়ামের ভাইস প্রেসিডেন্ট আর মহেন্দ্রন ও জেনারেল সেক্রেটারি সন্তোষ বাবুও দল থেকে ইস্তফা দেন। ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে পরিবেশকর্মী পদ্ম প্রিয়াও দল ছাড়েন সম্প্রতি। গতকালই দলের সাধারণ সম্পাদক এম মুরুগাননদাম দলে “স্বাধীনতা ও সত্যতার অভাব” কারণ দেখিয়ে টুইটারে নিজের ইস্তফা পত্র পোস্ট করেন।
নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়ে মুরুগানন জানান, তিনি স্বাধীন ও সত্যনিষ্টভাবে সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করার জন্য দলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান যা পরিস্থিতি দেখছেন, তাতে দলের সমস্ত পদ, এমনকি সদস্যপদও ত্যাগ করছেন।
একাধিক নেতা পদত্যাগ করলেও অভিনেতা তথা দলের প্রধান কমল হাসান মুখ খুলেছেন একবারই, তার সবচেয়ে ঘনিষ্ট নেতা ডঃ মহেন্দ্রনের ইস্তফার পর। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, “এমনিতেই বিশ্বাসঘাতকদের দল থেকে বের করে দেওয়া হত। মহেন্দ্রনের নাম ওই তালিকায় সবার উপরে ছিল।”
আরও পড়ুন: বিগত দুই মাসে সর্বনিম্ন টিকাকরণ মঙ্গলবারে, আদৌই কি মিটবে টিকা সঙ্কট?