কলকাতা: জোড়া করোনা প্রতিষেধককে অনুমোদন দিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের (Covishield) চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল হলেও কোভ্যাকসিনের (Covaxin) চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল এখনও চলছে। কার্যকরিতা সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট নেই, সংবাদ মাধ্যমে তা স্বীকার করে নিয়েছেন আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ বলরাম ভার্গভ। তারপরেও কেন অনুমোদন দেওয়া হল কোভ্যাকসিনকে? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করেছেন একাধিক বিরোধী নেতা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, যেসব প্রোটেকল মেনে ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার যেন অপমান না করেন বিরোধীরা। কোভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়ার পর ভ্যাকসিনের অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থরুর, জয়রাম রামেশ ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজনীতি না করার কথা বলে পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও। এবার বিশেষজ্ঞরা জানালেন, আপদকালীন অনুমোদন দেওয়া যেতেই পারে ট্রায়ালে থাকা কোনও প্রতিষেধককে।
প্রাক্তন ড্রাগ কন্ট্রোলার তথা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রাক্তন অধিকর্তা কৃষ্ণাংশু রায়ের কথায়, “তথ্য জোগাড় করতে অনেক সময় লাগে, সেক্ষেত্রে যে কাগজপত্র রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে মহামারীর সময় ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে কোনও প্রতিষেধককে।” চিকিৎসক কুণাল সরকারের মতেও, এই পরিস্থিতিতে আপদকালীন অনুমোদন দিয়েছে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডকে, শর্তসাপেক্ষে এই অনুমোদন। তাঁর কথায়, “এখনও ব্রিটিশ আমলের গন্ধটা যায়নি। একটা দেশ দিয়েছে আমরাও দিয়ে দেখি। এরকম একটা মনোভাব।” তিনি এ-ও আশা করেন, এক দু’মাসের মধ্যে সব তথ্য নিয়ে তারপর সম্পূর্ণ অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: ট্রায়ালের আগেই কেন ছাড়পত্র? ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের, পাল্টা জবাব বিজেপির
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও ওষুধেরই ১০০ শতাংশ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। বহু বছর ধরে চলে আসা কোনও ওষুধেরই হঠাৎ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যদি এই প্রতিষেধকের মাধ্যমে সিংহভাগ আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচানো যায়, সেক্ষেত্রে বেআইনি কিছু নয়। প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন দেশে আপদকালীন অনুমোদন পেয়েছে একাধিক প্রতিষেধক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের আগেই প্রথম স্পুটনিক-ভিকে অনুমোদন দিয়েছিল রাশিয়া।