Cyclone Dana: ফুঁসছে সমুদ্র, দমকা হাওয়ায় সোজাভাবে দাঁড়ানোও দায়! দানা আছড়ে পড়ার আগেই ধামরায় ভয় ধরানো পরিস্থিতি
Cyclone Update: ধামরায় আরও ভয় বাড়াচ্ছে জোয়ার। আজ রাতে যে সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার কথা, সেই সময়ে জোয়ার আসে। ইতিমধ্যেই ফুঁসছে সমুদ্র। ফুলেফেঁপে উঠছে সমুদ্রের জল। দ্রুত জলস্তর বাড়ছে। এভাবেই জল বাড়তে থাকলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
ধামরা: আরও ভয় বাড়াচ্ছে দানা (Cyclone Dana)। আজ রাতেই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। তার আগেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ধামরায়। এই ধামরাতেই ল্যান্ডফল হওয়ার কথা ঘূর্ণিঝড় দানার। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস। সেই বাতাসের বেগ এতটাই বেশি যে সোজাভাবে দাঁড়ানোও অসম্ভব হয়ে উঠছে।
বর্তমানে পারাদ্বীপ থেকে ২৬০ কিমি, ধামরা থেকে ২৯০ কিমি এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আজ রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে ধামরা ও ভিতরকণিকার মাঝে ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের। ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘দানা’। ওড়িশা-বাংলা উপকূলে জারি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের লাল সতর্কতা।
বুধবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে ধামরায়। আজ সকাল থেকে একনাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির দাপটও বেড়েছে। বর্তমানে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে ধামরা বন্দর এলাকায়। কালো মেঘে চারিদিক অন্ধকার হয়ে এসেছে। তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাতাসের দাপট। ঝড়-বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কমছে, দূরে কিছু দেখা যাচ্ছে না। দমকা হাওয়ায় সোজাভাবে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে উঠেছে।
ধামরায় আরও ভয় বাড়াচ্ছে জোয়ার। আজ রাতে যে সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার কথা, সেই সময়ে জোয়ার আসে। ইতিমধ্যেই ফুঁসছে সমুদ্র। ফুলেফেঁপে উঠছে সমুদ্রের জল। দ্রুত জলস্তর বাড়ছে। এভাবেই জল বাড়তে থাকলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ধামরা বন্দর লাগোয়া মৎসজীবীদের গ্রাম। তা জলের তলায় ডুবে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই এলাকা খালি করানো হচ্ছে। বাসিন্দাদের ত্রাণকেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রকৃতির রুদ্ররূপ দেখা যাচ্ছে ভিতরকণিকাতেও। ধামরা ও ভিতরকণিকায় রয়েছে একাধিক দ্বীপ, যেখানে মানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে মানগ্রোভ অরণ্যের। ঠিক যেমনটা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় সুন্দরবনের মানগ্রোভ অরণ্যের হয়েছিল।
পারাদ্বীপেও বড় বিপদের আশঙ্কা। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গড়, কুজন, রামনগর, মুসাডিহার মত মহানদী সংলগ্ন গ্রামগুলি। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ইতিমধ্যেই পারদ্বীপ বন্দরের কাজ বন্ধ রয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। বের করে দেওয়া হয়েছে জাহাজ। ১৯৯৯ সালের সুপার সাইক্লোনের স্মৃতি এখনও তাজা। তাই আতঙ্কিত পারাদ্বীপবাসী। রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানাগুলির উৎপাদনও বন্ধ রাখা হয়েছে । শ্রমিকদের থাকতে বলা হয়েছে আবাসনে। প্রস্তুত রয়েছে উদ্ধারকারী দল।