লখনউ: গরিব মানুষ বলে কি তারা চিকিৎসা পাবেন না? সরকারের তরফে দেশজুড়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে ন্য়ূনতম খরচে সঠিক চিকিৎসা পেতে পারেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেখানেও দুর্নীতি। গরিব মানুষকে ঠকিয়ে ১ টাকার বদলে ২ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছিল। বিধায়কের হাতে ধরা পড়তেই চরম পদক্ষেপ। সঙ্গে সঙ্গে চাকরি খোয়ালেন কর্মী।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের জগদৌরে। সোমবার অঞ্চলের একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টার পরিদর্শনে যান বিজেপি বিধায়ক প্রেম সাগর পটেল। দীর্ঘদিন ধরেই তার কাছে অভিযোগ আসছিল যে নানা বেআইনি কাজকর্ম লে এই কমিউনিটি সেন্টারে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পরিদর্শনে আসেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি যে পরিদর্শনে আসছেন, এ কথা কেউ জানত না।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকেই তিনি দেখতে পান, ডাক্তার দেখাতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ২ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকারের বেধে দেওয়া ফি তো ১ টাকা! এরপরে বিধায়ক রোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। জানতে পারেন, বিনামূল্যে সরকারি ওষুধ না দিয়ে বাইরের দোকানের ওষুধ প্রেসক্রাইব করা থেকে শুরু করা হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
उत्तर प्रदेश के महाराजगंज के सरकारी अस्पताल में #BJP विधायक प्रेम सागर पटेल जी को सुनिए..
“मैं वो विधायक नही हूं, अगर कलम रखा तो निपटना तय है..”
यहां फार्मासिस्ट द्वारा पर्ची के लिए 1 की जगह 2 रुपए ले रहा था.. pic.twitter.com/WxDJnwQPoV— Akhilesh Tiwari (अखिलेश तिवारी) (@Akhilesh_tiwa) September 16, 2024
রাতের শিফটে মহিলা চিকিৎসকের অনুপস্থিতি, সন্তান প্রসবের পর সরকারের তরফে যে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়, তা সময়মতো না মেলার মতো ভূরি ভূরি অভিযোগ পান বিধায়ক। এরপরই রুদ্রমূর্তি ধরেন তিনি। ফার্মাস্টিটকে ডেকে উচু গলায় প্রশ্ন করেন, “আপনার সাহস হয় কী করে গরিব মানুষদের থেকে ১ টাকা বেশি নেওয়ার? আমি গ্রামে বড় হয়েছি। দারিদ্রতা ও অসহায়তা কী, তা বুঝি। এখানে কী হচ্ছে আমায় বোঝানোর আর দরকার নেই। আমি সব জানি।”
জানা গিয়েছে, বিধায়কের পরিদর্শন ও অভিযোগের পরই ওই চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।