Government Schools: ৫৫০০ স্কুল, ভর্তি শূন্য! সরকারি শিক্ষা-কে ভুলছে মানুষ?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Sep 26, 2024 | 6:33 AM

Government Education: সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ৪৭টি জেলায় ৬৮৩৮টি স্কুলে একজন স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন। ৪৬টি জেলার ১২৭৫টি স্কুলে কোনও স্থায়ী শিক্ষকই নেই। পরিকাঠামোর কথা বললে, সরকার বিগত এক দশকে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা সরকারি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ করেছে, কিন্তু সেই উন্নয়ন চোখে পড়েনি অধিকাংশেরই।

Government Schools: ৫৫০০ স্কুল, ভর্তি শূন্য! সরকারি শিক্ষা-কে ভুলছে মানুষ?
প্রতীকী চিত্র
Image Credit source: Meta AI

Follow Us

ভোপাল: সবার শিক্ষা, সবার অধিকার, সর্ব শিক্ষা অভিযানের স্লোগান এটাই। ধনী থেকে গরিব-কেউ যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্যই সরকার “সাব পাড়ে, সাব বাড়ে” (সবাই পড়ুক, সবাই এগিয়ে যাক) নীতিতে এগিয়েছিল। বিনামূল্যে ইউনিফর্ম থেকে বইখাতা, মিড ডে মিল- স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরাতে এবং নতুন পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা বাড়াতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু সবই যেন তা বৃথা। অন্তত এমনটাই বলছে সরকারি পরিসংখ্যান। সরকারি স্কুলকে যেন ভুলেই গিয়েছে সাধারণ মানুষ। অভিভাবকদের ভরসা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষাতেই। কেন এমন হাল?

সম্প্রতিই মধ্য প্রদেশের রাজ্য শিক্ষা দফতর তথ্য তুলে ধরে যে রাজ্যে ৫৫০০-রও বেশি সরকারি স্কুল রয়েছে, যেখানে চলতি বছরে প্রথম শ্রেণিতে একজন পড়ুয়াও ভর্তি হয়নি। রাজ্যের প্রায় ২৫ হাজার স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে হাতে গোনা ১-২ জন। নামকরা সরকারি স্কুল, যেখান থেকে প্রতি বছরই কৃতি ছাত্র-ছাত্রীরা বের হয়, সেইরকম ১১ হাজার ৩৪৫টি সরকারি স্কুলেও গড়ে ১০ জনেরও কম পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে। রাজ্যের মোট ৯৪ হাজার ৩৯টি স্কুলের মধ্যে ৪১ হাজার স্কুলেরই এই দশা দেখে সরকারি শিক্ষাতে যে আর সাধারণ মানুষের ভরসা নেই, তা বলা ভুল হবে না।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সেওনি, সাতনা, বেতুল, নরসিংহপুর, বিদিশা, মান্দসুর, দেবসের মতো জেলাগুলির স্কুলেই ভর্তির হার সবথেকে কম। অধিকাংশ সরকারি স্কুলেই গোটা একটি শিক্ষাবর্ষে একজনও ভর্তি হয়নি, এমন উদাহরণ রয়েছে।

এই খবরটিও পড়ুন

কেন ভরসা নেই?

সবাই-ই চায়, তাদের সন্তান যেন ভাল শিক্ষা পায়, ভাল জায়গায় পড়াশোনা করে। যাদের আর্থিক সঙ্গতি নেই, তারা দু-একবার সন্তানকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করানোর চিন্তা করলেও, স্কুলের দশা দেখে সেই ভরসাটাও উঠে যায়। কোথাও স্কুলের ছাদ দিয়ে জল পড়ছে, কোথাও দেওয়াল ধসে যাচ্ছে। কোনও স্কুলে আবার হাতে গোনা দু-একজনই শিক্ষক। তারাই সমস্ত বিষয় পড়াচ্ছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকদের ভরসা উঠে যাচ্ছে সরকারি স্কুলের শিক্ষার উপর থেকে।

মধ্য প্রদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ৪৭টি জেলায় ৬৮৩৮টি স্কুলে একজন স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন। ৪৬টি জেলার ১২৭৫টি স্কুলে কোনও স্থায়ী শিক্ষকই নেই। পরিকাঠামোর কথা বললে, সরকার বিগত এক দশকে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা সরকারি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ করেছে, কিন্তু সেই উন্নয়ন চোখে পড়েনি অধিকাংশেরই। এখনও স্কুলে পরিষ্কার শৌচাগার, ক্লাসরুম নেই বলে অভিযোগ। শুধু মিড ডে মিল এবং ইউনিফর্ম দিয়ে পড়ুয়াদের সরকারি স্কুলে ফেরানো কঠিন।

এই বিষয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দিচ্ছে। স্কুলগুলির উন্নতি, সংস্কার করছে না যাতে সবাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি স্কুলেই ভর্তি হয়। রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী উদয় প্রতাপ সিং সরকারি স্কুলগুলির এই ভর্তির পরিসংখ্যান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেই বলেন, “সরকার এই পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করছে। তবে পড়ুয়ারা একবার বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হলে, তাদের ফেরানো কঠিন।”

Next Article