
লখনউ: বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা বিস্ফোরণ। বিকট শব্দে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। পড়শিরা যখন শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এল তখন চোখের সামনে দাউদাউ করে জ্বলছে একটা আস্ত বাড়ি। প্রায় ভেঙে পড়েছে বললেই। এই ভয়াবহ ঘটনা উত্তর প্রদেশের অযোধ্য়ার।
এদিন রাতে পাগলা ভারি গ্রামে তৈরি হল উত্তেজনা। একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের কারণে প্রাণ গেল অন্তত পাঁচ জনের। গুরুতর ভাবে জখম একজন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ভেঙে পড়েছে আস্ত বাড়ি। ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। এখনও বেশ কয়েকজন ওই ধ্বংসস্তূপের মধ্য়ে আটকে থাকতে পারেন বলেই মনে করছে প্রশাসন।
অযোধ্যার সার্কেল অফিসার দেবেশ চতুর্বেদী জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, রান্না গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আস্ত বাড়ি বিস্ফোরণে ফেটে যায়। বেশ কিছু জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে লেলিহান অগ্নিশিখা। এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলেই রয়েছেন। তাঁদের অনুমান, বেশ কয়েকজন ওই ধ্বংসস্তূপের নীচেই আটকা পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
তবে সার্কেল অফিসার সিলিন্ডার ফেটে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটার তত্ত্ব দিলেও, একাংশের অভিযোগ, ওই বাড়িতে অবৈধ বাজি তৈরি ও মজুতের কাজ চলত। যার জেরেই এই পরিণতি।
যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তার অনতিদূরেই পুরা কালন্দর থানা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ যখন বিস্ফোরণ ঘটে, তখন তার বিকট শব্দ কানে পৌঁছয় সেই সময় স্থানীয় থানায় কর্তব্যরত থাকা পুলিশ কর্মীদের। তারাই তড়িঘড়ি দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে খবর দেয়। পাঁচ জন নিহতের দেহ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একজন জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা।
এদিনের ঘটনায় মর্মাহত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশের পাশাপাশি, আহতদের নিপুণ চিকিৎসা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, গোটা ঘটনার তদন্ত যাতে সুষ্ঠ ভাবে হয় সেই নির্দেশও প্রশাসককে দিয়েছেন তিনি।