Vande Mataram Song Row: ‘বন্দে মাতরম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল স্তবক…’, শতবর্ষে দেশভাগের দায় ঠেললেন মোদী

PM Modi on Vande Mataram: এদিন বন্দে মাতরমের সার্ধ শতবর্ষকে স্মরণ করে একটি স্মারক স্ট্যাম্প এবং কয়েন প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'বন্দে মাতরম শুধু একটা গান নয়, বরং একটা মন্ত্র। এই গানের আবেগ ভারতমাতাকে ঘিরে তৈরি। যা প্রতিটি দেশবাসীর মনে বিশ্বাস জোগায়, লক্ষ্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।'

Vande Mataram Song Row: বন্দে মাতরম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল স্তবক..., শতবর্ষে দেশভাগের দায় ঠেললেন মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীImage Credit source: PTI

|

Nov 07, 2025 | 6:12 PM

নয়াদিল্লি: জাতীয় গান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্তবক। শুক্রবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই সুরেই তোপ দাগলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই স্তবক বাদ দেওয়ার মধ্য়ে দিয়ে দেশভাগের বীজ বপন করা হয়েছে বলে মত তাঁর। কিন্তু স্তবকগুলি ঠিক কী? আর কোন সূত্র ধরেই বন্দে মাতরমকে ফের দেশবাসীর সামনে তুলে ধরলেন তিনি?

শুক্রবার বন্দে মাতরম গানের ১৫০ বছর পূর্তিতে নয়াদিল্লির বুকে ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল একটি অনুষ্ঠান। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। শতবর্ষ উদযাপনের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৩৭ সালে বন্দে মাতরম থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তবক বাদ দেওয়া হয়েছিল। বন্দে মাতরম গানকে খণ্ডে খণ্ডে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। বলা চলে, দেশভাগের বীজটাও ঠিক সেই সময় বপন করা হয়েছিল। এমন বিভাজনমূলক মানসিকতা আজও দেশের জন্য চ্য়ালেঞ্জ হয়ে রয়েছে।’

এদিন বন্দে মাতরমের সার্ধ শতবর্ষকে স্মরণ করে একটি স্মারক স্ট্যাম্প এবং কয়েন প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বন্দে মাতরম শুধু একটা গান নয়, বরং একটা মন্ত্র। এই গানের আবেগ ভারতমাতাকে ঘিরে তৈরি। যা প্রতিটি দেশবাসীর মনে বিশ্বাস জোগায়, লক্ষ্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।’

কিন্তু কী এমন গুরুত্বপূর্ণ স্তবক বাদ দিয়েছিল কংগ্রেস? ১৮৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর লেখা হয়েছিল বন্দে মাতরম। লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়। প্রথমে এটিকে সংস্কৃত ও বাংলা ভাষায় লেখেন তিনি। যাতে মোট ছয়টি স্তবক ছিল। এরপর ১৯৩৭ সালের অক্টোবর মাসে জাতীয় গান হিসাবে কংগ্রেস বন্দে মাতরমের প্রথম দু’টি স্তবককেই গ্রহণ করেছিল। এই দুই স্তবককে ‘ধর্ম নিরপেক্ষ’ বলে উল্লেখ করেছিল তাঁরা। তাঁদের ব্যাখ্যা, এর পরের স্তবকগুলিতে হিন্দু দেবদেবীর কথা তুলে ধরায়, সেগুলিকে ধর্ম নিরপেক্ষ বলা যায় না।

বন্দে মাতরম নিয়ে যখন চড়েছে রাজনীতি, কাঠগড়ায় টানা হয়েছে কংগ্রেস। সেই আবহে চুপ থাকেননি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারকে একযোগে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতায় তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই। স্বাধীনতার ৫২ বছর ওরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেনি। কখনও বন্দে মাতরম গান গায়নি। ওঁদের কার্যালয়ে কোনও জাতীয় সঙ্গীত পর্যন্ত চলেনি।’