নয়া দিল্লি: দেশের গরিব মানুষদের ই-মালিকানা পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। বুধবার মধ্য প্রদেশ(Madhya Pradesh)-র স্বামীত্ব প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বললেন, এই প্রকল্প কেবল জমির দলিলের আইনি প্রমাণই দেয় না, একইসঙ্গে এটি গ্রামোন্নয়নের নতুন মন্ত্র হয়ে উঠেছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনি ১ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষের মধ্যে ই-প্রপার্টি কার্ড(e-Property Card)-ও বিতরণ করেন।
বুধবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও। অনুষ্ঠানের সূচনাতেই তিনি বলেন, “এই প্রকল্প কেবল আইনি দলিলপত্রই সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেয় না, একইসঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে গ্রামের উন্নয়নেও সাহায্য করে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক স্তরে পিএম স্বামীত্ব যোজনা মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও কর্নাটকের কিছু গ্রামে শুরু করা হয়েছিল। এখনও অবধি এই রাজ্যগুলির ২২ লক্ষ পরিবারের জন্য জমির দলিলের কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
মোদী বলেন, “প্রাথমিক স্তরে এটিকে পাইলট প্রকল্প হিসাবে চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে আমরা দেশের বাকি রাজ্যগুলিতেও এই প্রকল্প শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছি। মধ্য প্রদেশ এই প্রকল্পকে কার্যকর করার জন্য দ্রুতগতিতে কাজ করছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আজ ৩ হাজার গ্রামের ১.৭০ লক্ষ পরিবার অধিকার অভিলেখ নামক জমির দলিলের কার্ড পাবে।”
দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওই যুগ চলে গিয়েছে যখন গরিব মানুষকে প্রতিটি পয়সার জন্য সরকারের কাছে ছুটতে হত। বর্তমানে সরকারই সাধারণ মানুষের কাছে আসছে তাদের নিত্যনতুন পরিষেবার সুযোগ দিতে। বিগত ৬-৭ বছরে সরকারের কাজই দেখুন, প্রতিটি প্রকল্পই এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে গরিব মানুষদের অন্যের কাছে হাত পাততে না হয়।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, “সম্প্রতিও একাধিক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যার সাহায্যে প্রত্য়ন্ত অঞ্চলের কৃষকরাও ড্রোন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে চাষের ক্ষেত্রে সর্বাধিক সুবিধা পেতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তিই গ্রামগুলিতে উন্নয়ন আনবে।”
কেন্দ্রের পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রকের অধীনে এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের হাতে জমির মালিকানা স্বত্ব তুলে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের সাহায্য নিয়েই গ্রামবাসীরা জমিকে সম্পত্তি হিসাবে ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ঋণ বা অন্যান্য আর্থিক সুবিধা নিতে পারবেন। এরজন্য তাদের মহাজন বা ঋণদাতা কারোর কাছে হাত পাততে হবে না।
একইসঙ্গে এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে ড্রোনের সাহায্যে জনবসতিপূর্ণ ও ফাঁকা জমি চিহ্নিতকরণ ও ম্যাপিংয়ের কাজ করা হবে। ড্রোনের ব্যবহার বাড়ায় দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রেও বিশেষ সাহায্য হচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।