৫ কেজি ‘আলু’ ৫ লাখ টাকা! তাও আবার ‘বিক্রি’ করছে পুলিশ…

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Aug 10, 2024 | 7:39 PM

Police: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে শোনা যায়, এক কৃষক বলছেন, তার পক্ষে ৫ কেজি আলু দেওয়া সম্ভব নয়। খুব বেশি হলে ২ কেজি আলু দিতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত ৩ কেজি আলু-তে রফা হয়। 

৫ কেজি আলু ৫ লাখ টাকা! তাও আবার বিক্রি করছে পুলিশ...
এই পুলিশকর্মীই 'আলু' চেয়েছিলেন।
Image Credit source: X

Follow Us

লখনউ: ঘুষ চেয়েছিলেন ‘আলু’। ৫ কেজি আলু চেয়েছিলেন কৃষকের কাছ থেকে। কিন্তু এত আলু দিতে অপারগ কৃষক। বলেছিলেন, টেনেটুনে ২ কেজি আলু দিতে পারবেন। ফোনেই চলছিল দরাদরি। কিন্তু অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতেই চরম শাস্তির মুখে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। চাকরি থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হল তাঁকে। কিন্তু গল্পের টুইস্ট অন্য জায়গায়। কেন এই ‘আলু’ চাইতেন পুলিশ ইন্সপেক্টর, জানেন?

তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘আলু’ আসলে কোড ওয়ার্ড। ঘুষ চাইতে গিয়ে যাতে ধরা না পড়েন, তার জন্যই কোড ওয়ার্ডে ‘আলু’ চাইতেন ওই পুলিশ কর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওই অডিয়ো ক্লিপ। এরপরই ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। আপাতত সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের কনৌজের। রাম কৃপাল সিং নামক ওই সাব ইন্সপেক্টর এক কৃষকের কাছ থেকে ৫ কেজি আলু চেয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে শোনা যায়, এক কৃষক বলছেন, তার পক্ষে ৫ কেজি আলু দেওয়া সম্ভব নয়। খুব বেশি হলে ২ কেজি আলু দিতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত ৩ কেজি আলু-তে রফা হয়।

অডিয়ো ক্লিপটি ভাইরাল হতেই কনৌজের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট অমিত কুমার আনন্দ ওই সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, আদতে আলু নয়, আলুর নামে ঘুষ চাইতেন ওই পুলিশকর্মী। আলু শব্দটি কোড ওয়ার্ড হিসাবেই ব্যবহার করা হয়। ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

 

Next Article