জেনেভা: হয়ত রুখে দেওয়া যেত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের এহেন বাড়বাড়ন্ত। লাগাতার করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখে এমনটাই মত চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞদের। কারণ দেশে করোনার এই বাড়বাড়ন্তের জন্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি দায়ী করছে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশগুলিকে। সেগুলি যদি না হত তাহলে করোনা এহেন মারণ আকার ধারণ করতে পারত না। এ বার সেই একই কথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। সাপ্তাহিক রিপোর্টে হু (WHO) জানিয়েছে, ভারতে করোনা বৃদ্ধির সঙ্গে সংযোগ রয়েছে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশের।
করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের পর দেশে নিম্নমুখী হয়েছিল করোনা গ্রাফ। তখন চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা বারবার অনুরোধ করেছিলেন করোনাবিধি মেনে চলার জন্য। কারণ তাঁরা জানতেন দ্বিতীয় ঢেউ আসছে। তবু কুম্ভ মেলার মতো বিপুল জমায়েত হয়েছে। ৩ রাজ্য ও ১ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোট হয়েছে। সেখানে বড় বড় রাজনৈতিক সমাবেশ হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে উত্তর প্রদেশেও। লাগাতার নেতা-নেত্রীরা বড় বড় রোড শো, সভা করছেন। আর সেখানে ঠাসাঠাসি ভিড় করেছেন অনুগামীরা। সেই সুযোগেই লাফিয়ে বেড়েছে করোনা। এ কথা বারবার বলেছেন চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা। কার্যত একই কথা বলল হু।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ-ও জানিয়েছে, করোনা বৃদ্ধির আসল ফ্যাক্টরগুলি এখনও ঠিক মতো বোঝা যায়নি। পাশাপাশি করোনা বৃদ্ধিতে ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন বি.১.৬১৭-এরও ভূমিকা থাকতে পারে বলে মনে করছে হু। উল্লেখ্য, এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য এককভাবে দায়ী করেছিল নির্বাচন কমিশনকে। কলকাতা হাইকোর্টও করোনা সংক্রান্ত নিয়ম বিধিতে সঠিক পদক্ষেপ না করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিল।
আরও পড়ুন: আল আকসা মসজিদে ইজরায়েলি পুলিশের হামলায় ক্ষোভ প্রকাশ হাসিনার