আল আকসা মসজিদে ইজরায়েলি পুলিশের হামলায় ক্ষোভ প্রকাশ হাসিনার
আল আকসা মসজিদে ইজরায়েলের পুলিশের হামলায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা: ইজরায়েল (Israel) ও গাজ়ার হামলা পাল্টা হামলায় মোট ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গাজ়ায় একাধিক রকেট ছুড়েছে ইজরায়েল। পাল্টা দিয়েছে হামাসও। সব মিলিয়ে প্যালেস্তাইন ও ইজরায়েলের মধ্যে এখন চরম উত্তপ্ত অবস্থা। তার মধ্যেই আল আকসা মসজিদে ইজরায়েলের পুলিশের হামলায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে চিঠি দিয়ে হাসিনা লিখেছেন, “হামলায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।” ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের এই বিবাদে বারবার প্যালেস্তাইনের দাবির সমর্থনেই কথা বলেছে বাংলাদেশ।
এ বারের ইজরায়েল ও হামাসের উত্তেজনার সূত্রপাত:
জেরুজালেম লাগোয়া শেখ জারাহ এলাকায় প্যালেস্তাইন পরিবারের উচ্ছেদ থেকে শুরু এ বারের ইজরায়েল-হামাস উত্তেজনা। ইজরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট একাধিক প্যালেস্তাইন পরিবারকে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিতে যাচ্ছে, এই আশঙ্কা থেকেই আল আকসা মসজিদে অবস্থান বিক্ষোভ করছিল প্যালাস্তাইনিরা। শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে তৎপর হয় ইজরায়েলের পুলিশ। সোমবার তা চরম আকার ধারণ করে। রাবার বুলেট, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ইজরায়েলের পুলিশ। যার ফলে আহত হন অন্তন ১ হাজারের বেশি প্যালেস্তাইনিরা। এরপরই মসজিদ থেকে ইজরায়েলকে পুলিশ প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দেয় প্যালেস্তাইনের কট্টরপন্থী সংগঠন হামাস। তারপরেও ইজরায়েল পুলিশ প্রত্যাহার না করলে রকেট ছোড়ে হামাস।
সেই রকেটের পাল্টা দিতে গিয়ে দফায় দফায় বিমানে হামলা চালায় ইজরায়েল। হামলায় ১০ শিশু-সহ ৩৫ জন প্যালাস্তাইনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম মারফত। ইজরায়েলের বিমান হামলার পর হামাসের সামরিক শাখা তেল আভিভ লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে। হামাসের পাল্টা হামলায় ইজরায়েলের ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। হামাসের হামলার পর ফের ১৩০টি রকেট ছোড়ে ইজরায়েল।
আরও পড়ুন: হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী, ইজরায়েল-গাজ়ার হামলায় মৃত্যু ৩৮ জনের