AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jiban Mukherjee: ‘শেষ ক’টা বছর অত্যন্ত কষ্টে কাটিয়েছেন, এর জন্যও দায়ী শাসকদলের একাংশ’, ঐতিহাসিক জীবন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর বিস্ফোরক তত্ত্ব

Jiban Mukherjee: "অত্যন্ত সৎ সজ্জন লোক ছিলেন। কেউ প্রাক্তন আমলা হতে পারেন, রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গিটা কেমন বদলাচ্ছে... জীবনবাবু শেষটা গত দু'তিন বছর কী কষ্ট পেয়েছেন।"

Jiban Mukherjee: 'শেষ ক'টা বছর অত্যন্ত কষ্টে কাটিয়েছেন, এর জন্যও দায়ী শাসকদলের একাংশ',  ঐতিহাসিক জীবন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর বিস্ফোরক তত্ত্ব
জীবন মুখোপাধ্যায় Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2025 | 3:27 PM
Share

কলকাতা: বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ইতিহাসবিদ জীবন মুখোপাধ্যায়। কলমের খোঁচায় জীবন্ত ইতিহাস। জীবন মুখোপাধ্যায়ের ইতিহাস বই পড়েনি, এমন পড়ুয়া বাংলা মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু সেই ইতিহাসবিদ জীবনের শেষ ক’টা বছর অত্যন্ত কষ্টে কাটিয়েছেন। কেন? বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তারই ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তার জন্যও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকেই দায়ী করেন তিনি।

তিনি বলেন, “অত্যন্ত সৎ সজ্জন লোক ছিলেন। কেউ প্রাক্তন আমলা হতে পারেন, রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গিটা কেমন বদলাচ্ছে… জীবনবাবু শেষটা গত দু’তিন বছর কী কষ্ট পেয়েছেন। কারণ আমি ওই দলটা ২১ বছর ধরে করেছি। জীবনবাবু আমাকে ওই এলাকার একাধিক সামাজির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ডেকে নিয়ে যেতেন, স্যরের আর্শীবাদ পেয়েছি। অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি।” তিনি বলেন, “তাঁকে সোনারপুর কলেজের গর্ভনিং বডি থেকে সরানো হয়। সরকার সরাতেই পারে। বিরোধী বিধায়কদের রাখবেন না বলে আউট করেছেন।”

বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।  জীবন মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক-যোগের বিষয়টি অনেকের কাছেই অজানা ছিল।  অধ্যাপনা ও লেখালেখির পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতিও করেছেন।

২০১১ সালে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে তিনি দাঁড়ান। বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালেও তিনি এই কেন্দ্র থেকে জেতেন। তবে ২০২১ সালে দল আর তাঁকে ভোটের টিকিট দেয়নি। টিকিট না পেয়ে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি। তবে মানুষের সঙ্গে তাঁর স্পষ্ট যোগাযোগ ছিল।