Amit Shah on CAA: লোকসভা নির্বাচনের আগেই চালু হবে CAA, বড় ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Feb 10, 2024 | 2:07 PM

Lok Sabha Election 2024: এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিএএ প্রসঙ্গে বলেন, "আমাদের মুসলিম ভাইদের সিএএ নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে এবং উসকানো হচ্ছে। যারা পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের নিপীড়নের শিকার হওয়ার পর ভারতে এসেছিলেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। কারোর ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন আনা হয়নি।" 

Amit Shah on CAA: লোকসভা নির্বাচনের আগেই চালু হবে CAA, বড় ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
অমিত শাহ।
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগেই চালু হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (CAA)। জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার একটি বাণিজ্য সম্মেলনেই যোগ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “২০১৯ সালে এই আইন তৈরি হয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই আইন কার্যকর করা হবে। শীঘ্রই এই সংক্রান্ত নিয়ম জারি করা হবে।

এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিএএ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের মুসলিম ভাইদের সিএএ নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে এবং উসকানো হচ্ছে। যারা পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের নিপীড়নের শিকার হওয়ার পর ভারতে এসেছিলেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। কারোর ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন আনা হয়নি।”

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল কেমন হবে, সে সম্পর্কেও পূর্বাভাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “৩৭০টি আসনে জয়ী হবে বিজেপি, এনডিএ ৪০০-রও বেশি আসন পাবে লোকসভা নির্বাচনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই তৃতীয়বার সরকার গঠন হবে।”

তিনি আরও বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোনও ধোঁয়াশা নেই। এমনকী, কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও বুঝে গিয়েছে তাদের আবার বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে। আমরা ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করেছি। আমাজের বিশ্বাস দেশের জনগণ বিজেপিকে ৩৭০টিরও বেশি আসনে জয়ী করে আশীর্বাদ করবে।”

রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ বলেন, “রাহুল গান্ধীর এই যাত্রা করার কোনও অধিকারই নেই কারণ তাঁর দলই ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের জন্য দায়ী ছিল।”

সংসদে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা নিয়ে অমিত শাহ বলেন, “এটা সময়ের প্রয়োজন ছিল। কংগ্রেস শাসিত ইউপিএ সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতা হারানোর সময় কী অব্যবস্থা তৈরি করে গিয়েছিল, তা জানার অধিকার রয়েছে দেশবাসীর। ওই সময়ে (২০১৪ সালে) দেশের অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। সব কিছুতেই দুর্নীতি হচ্ছিল। বিদেশি বিনিয়োগ আসছিল না। তাই শ্বেতপত্র প্রকাশ করার প্রয়োজন ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “বিগত ১০ বছরে আমাদের সরকার অর্থনীতির হাল ফিরিয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ এনেছে। আজ কোথাও দুর্নীতি নেই। এটাই শ্বেতপত্র প্রকাশের সঠিক সময় ছিল।”

রাম মন্দিরের প্রসঙ্গেও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “৫০০-৫৫০ বছর ধরে দেশবাসীর বিশ্বাস ছিল শ্রীরামের জন্মস্থানেই মন্দির তৈরি হওয়া উচিত। কিন্তু রাজনৈতির তুষ্টিকরণ ও আইনৃশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না।”

চলতি সপ্তাহেই উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, “এটা দীর্ঘ সময় থেকেই সাংবিধানিক অ্যাজেন্ডায় ছিল। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সহ অন্যান্যরা স্বাক্ষর করেছিলেন তাতে। কিন্তু কংগ্রেস তুষ্টিকরণের জন্য এটা এড়িয়ে যাচ্ছিল। উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে সামাজিক পরিবর্তন আসবে। সমস্ত ফোরামে এটা নিয়ে আলোচনা হবে। ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ধর্মভিত্তিক দেওয়ানি বিধি থাকতে পারে না।”

Next Article