নয়া দিল্লি : রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ যেকোনও সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্সিন সরবরাহ বন্ধ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতের হায়দরবাদে অবস্থিত ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি এই কোভিড টিকা নিয়ে ‘সতর্ক’ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর তরফে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে যে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাকে তাদের ‘ফ্যাসিলিটি’র মান বাড়াতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যেসব দেশকে কোভ্যাক্সিন সরবরাহ করা হয়েছে তাদের ‘উপযুক্ত পদক্ষেপ’ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতিতে এটা স্পষ্ট ভাবে বলা হয়নি যে কোভ্যাক্সিন নিয়ে ঠিক কী ‘উপযুক্ত পদক্ষেপ’ করতে হবে। এই কারণে কোভ্যাক্সিন নিয়ে হঠাৎই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতীয় টিকার কার্যকারিতা নিয়ে অভয় প্রদান করেছে। বিবৃতিতে এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “এই ভ্যাকসিন কার্যকর এবং এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনও উদ্বেগ নেই। কিন্তু রফতানির জন্য উৎপাদন স্থগিত করার জেরে কোভ্যাক্সিন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৪ থেকে ২২ মার্চ কোভ্যাক্সিন নিয়ে পর্যালোচনা হয়। ‘ইমারজেন্সি ইউজ় লিস্টিং’-এর (জরুরি প্রয়োগ) পরবর্তী সময়ের জন্য কোভ্যাক্সিন নিয়ে এই পর্যালোচনা বা ইন্সপেকশন হয়। এর প্রেক্ষিতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভ্যাক্সিন সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা করে। এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বায়োটেকও কোভ্যাক্সিন উৎপাদনের বন্ধের কথা জানিয়েছে।
হায়দরাবাদ ভিত্তিক টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, “টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। এই টিকার প্রয়োগ পুরোপুরি নিরাপদ।” পাশাপাশি সংস্থার তরফে এও জানানো হয়, যে কোটি কোটি মানুষ কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছেন, তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাঁদের টিকাকরণ সংশাপত্র এখনও বৈধ। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, ফেসিলিটির মান উন্নয়নের জন্য তারা কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমাতে চলেছে। সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ফেসিলিটির মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সকল কাজ বাকি ছিল সেগুলি শেষ করতে এবং ফেসিলিটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টিকা উৎপাদনের হার আপাতত কম থাকবে।”
এদিকে ভারত বায়োটেক প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, “ভারত বায়োটেক গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (ভালো উৎপাদন প্রক্রিয়া) মেনে টিকা উৎপাদন করবে। এর জন্য তাদের যা যা খামতি রয়েছে তা মেটানো হবে। একটি সংশোধনমূলক এবং প্রতিরোধমূলক কার্য পরিকল্পনা তৈরি করে ড্রাগ কোন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে এই বিষয়ে বিশদে জানাতে হবে।”
আরও পড়ুন : Weather Updates: ১২২ বছরে রেকর্ড গরম! বাংলা কি বেঁচে গেল? কী বলছে হাওয়া অফিস