কলকাতা : চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্যের কথা মনে পড়ে? সরকারি চিকিৎসা ক্ষেত্রে বদলি নীতির (Transfer Policy of Doctors) তুমুল সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তারপর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। মনে পড়ে? আট বছরের এক মেয়ে ছিল তাঁর। অটিজমে আক্রান্ত সন্তান। কিন্তু তারপরেও তাঁর পরিস্থিতির কথা বিবেচনা না করার ‘গুরু’ অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। এবার সরকারি চিকিৎসা ক্ষেত্রে সেই নতুন বদলি নীতির খসড়ার প্রস্তাব জমা পড়ল স্বাস্থ্য ভবনে (Swastha Bhawan)। উল্লেখ্য, ওই ঘটনার পর থেকেই স্বচ্ছ বদলি নীতির পক্ষে সওয়াল তুলে আসছিল বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনগুলি। সেই ঘটনার পর তৈরি হয়েছিল কমিটি। কিন্তু প্রশ্ন, কমিটির সুপারিশ কি পুরোপুরি মানবে স্বাস্থ্য ভবন?
উল্লেখ্য, চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্যের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা কার্যত নাড়়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে। সেই সময় নতুন বদলি নীতি তৈরির জন্য তিন সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি তাদের রিপোর্ট সুপারিশ আকারে স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে জমা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্টে একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, দূরত্বের নিরিখে রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলি নিয়ে একাধিক জোন তৈরির কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে পুরানো মেডিকেল কলেজগুলিকে। ছয় মাসের বেশি সময় ডিটেলমেন্ট করা যাবে না। স্বাস্থ্যশিক্ষা ক্ষেত্রে কর্মরত চিকিৎসকদের ৫ শতাংশের বেশি ডিটেলমেন্ট করা যাবে না। এক হাসপাতালে সর্বোচ্চ ৮ বছর এবং ন্যূনতম ৩ বছর পর বদলি। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ শিক্ষকদেরও যেতে হবে জেলায়। আর যে বিষয়টি অত্যন্ত উল্লেখ্যযোগ্য, তা হল সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিচার করে বদলির কথা বলা হয়েছে সুপারিশে।
এর পাশাপাশি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিতে যে চিকিৎসকরা রয়েছেন, তাঁদেরও অভিজ্ঞতার নিরিখে যাতে বদলির সুযোগ দেওয়া হয়, সেই বিষয়টি ভাবা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর। তবে এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, কমিশনের এই সুপারিশ কি পুরোপুরি মানবে স্বাস্থ্য দফতর? কারণ, হাসপাতালে রোগী ভর্তি এবং অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে কোভিড টেস্ট আর বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লির এইমস। সেই পথে হাঁটতে চেয়ে আগেই সুপারিশ করেছিল প্রোটোকল কমিটি। কিন্তু এখনই নিয়মে বদল যে হচ্ছে না, তা জানিয়ে দিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। স্বাভাবিক ভাবে বদলি নীতির ক্ষেত্রেও কমিটির সুপারিশ সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।
চিকিৎসকদের যে সমস্যাগুলি রয়েছে, সেগুলির উল্লেখ বদলি নীতিতে না থাকলে, তাহলে আবার প্রতিবাদের পথে নামতে হবে বলেই জানিয়েছেন, এএইচএসডির সম্পাদক মানস গুমটা। মূলত যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তা হল জোন বিভাজনের ক্ষেত্রে দূরত্বের থেকেও ভৌগোলিক অবস্থানের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের ঐতিহ্য বিচারে বিশেষ মর্যাদার আড়ালে পুরানো ব্যবস্থা ফিরে আসবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে চিকিৎসকদের একাংশের মধ্যে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা : চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্যের কথা মনে পড়ে? সরকারি চিকিৎসা ক্ষেত্রে বদলি নীতির (Transfer Policy of Doctors) তুমুল সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তারপর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। মনে পড়ে? আট বছরের এক মেয়ে ছিল তাঁর। অটিজমে আক্রান্ত সন্তান। কিন্তু তারপরেও তাঁর পরিস্থিতির কথা বিবেচনা না করার ‘গুরু’ অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। এবার সরকারি চিকিৎসা ক্ষেত্রে সেই নতুন বদলি নীতির খসড়ার প্রস্তাব জমা পড়ল স্বাস্থ্য ভবনে (Swastha Bhawan)। উল্লেখ্য, ওই ঘটনার পর থেকেই স্বচ্ছ বদলি নীতির পক্ষে সওয়াল তুলে আসছিল বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনগুলি। সেই ঘটনার পর তৈরি হয়েছিল কমিটি। কিন্তু প্রশ্ন, কমিটির সুপারিশ কি পুরোপুরি মানবে স্বাস্থ্য ভবন?
উল্লেখ্য, চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্যের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা কার্যত নাড়়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে। সেই সময় নতুন বদলি নীতি তৈরির জন্য তিন সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি তাদের রিপোর্ট সুপারিশ আকারে স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে জমা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্টে একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, দূরত্বের নিরিখে রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলি নিয়ে একাধিক জোন তৈরির কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে পুরানো মেডিকেল কলেজগুলিকে। ছয় মাসের বেশি সময় ডিটেলমেন্ট করা যাবে না। স্বাস্থ্যশিক্ষা ক্ষেত্রে কর্মরত চিকিৎসকদের ৫ শতাংশের বেশি ডিটেলমেন্ট করা যাবে না। এক হাসপাতালে সর্বোচ্চ ৮ বছর এবং ন্যূনতম ৩ বছর পর বদলি। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ শিক্ষকদেরও যেতে হবে জেলায়। আর যে বিষয়টি অত্যন্ত উল্লেখ্যযোগ্য, তা হল সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিচার করে বদলির কথা বলা হয়েছে সুপারিশে।
এর পাশাপাশি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিতে যে চিকিৎসকরা রয়েছেন, তাঁদেরও অভিজ্ঞতার নিরিখে যাতে বদলির সুযোগ দেওয়া হয়, সেই বিষয়টি ভাবা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর। তবে এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, কমিশনের এই সুপারিশ কি পুরোপুরি মানবে স্বাস্থ্য দফতর? কারণ, হাসপাতালে রোগী ভর্তি এবং অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে কোভিড টেস্ট আর বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লির এইমস। সেই পথে হাঁটতে চেয়ে আগেই সুপারিশ করেছিল প্রোটোকল কমিটি। কিন্তু এখনই নিয়মে বদল যে হচ্ছে না, তা জানিয়ে দিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। স্বাভাবিক ভাবে বদলি নীতির ক্ষেত্রেও কমিটির সুপারিশ সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।
চিকিৎসকদের যে সমস্যাগুলি রয়েছে, সেগুলির উল্লেখ বদলি নীতিতে না থাকলে, তাহলে আবার প্রতিবাদের পথে নামতে হবে বলেই জানিয়েছেন, এএইচএসডির সম্পাদক মানস গুমটা। মূলত যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তা হল জোন বিভাজনের ক্ষেত্রে দূরত্বের থেকেও ভৌগোলিক অবস্থানের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের ঐতিহ্য বিচারে বিশেষ মর্যাদার আড়ালে পুরানো ব্যবস্থা ফিরে আসবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে চিকিৎসকদের একাংশের মধ্যে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা