কলকাতা: বাংলাদেশের সাংসদ খুনের তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। অবশেষে পাওয়া গেল মৃত সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের দেহাংশ। নিউটাউনের ওই আবাসনের সেফটি ট্যাঙ্কের মধ্যে থেকেই মিলেছে প্রায় ৪ কেজি ওজনের মাংস। গত ২২ মে থেকে বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশের খোঁজ শুরু হয়েছিল। বিভিন্নভাবে খোঁজ চালাচ্ছিলেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। টানা সাত দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির পর অবশেষে ওই আবাসনেরই সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে দেহাংশের খোঁজ পেল সিআইডি।
বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই শহরে এসেছেন পদ্মাপারের গোয়েন্দারাও। বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা দল ও রাজ্যের সিআইডি পারষ্পরিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে তদন্ত চালাচ্ছে এই ঘটনায়। জানা যাচ্ছে, আমানুল্লাহকে জেরা করে বাংলাদেশ পুলিশই এই বিষয়ে লিড পেয়েছিল। সেই বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের তরফে সিআইডিকে জানানো হয়। তারপর বাংলাদেশ পুলিশ ও সিআইডির যৌথ উদ্যোগে তল্লাশির পর ফ্ল্যাটের সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে এই দেহাংশ উদ্ধার হয়।
জানা যাচ্ছে, নিউটাউনের ওই আবাসনের সেফটি ট্যাঙ্কে মানুষের মাংস ছাড়াও মিলেছে চুলও। সবই বাংলাদেশের মৃত সাংসদের বলেই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। বাংলাদেশের সাংসদ খুনের তদন্তে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের হাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে এদেশে অনুপ্রবেশ করা এক পেশাদার কসাইকে মুম্বই থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতায়। তাকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে সিআইডির। পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশও এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ থেকে।