কলকাতা: ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার ৩ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। এই কেন্দ্রের তৃণমূলে প্রার্থী খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু তিনি মঙ্গলবার পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দিয়ে বিধিভঙ্গ করেছেন বলে বিজেপি দাবি করেছে। আসলে গতবারের মতো এবারও তিনি পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে কমিটি পিছু ৫০ হাজার টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করেন। ঘোষণার বিরোধিতা করেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়ে নালিশ জানিয়ে আসে বিজেপি।
বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে এ দিন সাংগঠনিক সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া গিয়েছিলেন নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে শিশির বলেন, “আমরা বিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছি নির্বাচন কমিশনের কাছে। পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে, আড়াই হাজার পুজো কমিটি কলকাতায় আছে। নির্বাচনের সময় বিধি ভঙ্গ করে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে ক্লাবগুলোকে। এই বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেও যাব।”
এখানেই শেষ নয় ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং মুর্শিদাবাদের আসনে ভোটের জন্য যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়, সেই দাবিও জানাতে শোনা গিয়েছে বিজেপিকে। পদ্মশিবিরে আশঙ্কা, মাত্র তিন আসনে ভোটেও সন্ত্রাস হতে পারে। তাই রাজ্যের নিরাপত্তার উপর আস্থা নেই বিরোধী দলের। যে কারণে এ দিন পদ্মশিবির আবেদন জানিয়েছে যাতে প্রতিটি বুথেই সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেভাবে বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, সে বিষয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আগামীকাল এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি ঘোষণা হওয়ার পরেও কী ভাবে রাজ্য সরকার এই কথা ঘোষণা করতে পারে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। একইসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের মতো তিন কেন্দ্রের নির্বাচনেও সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী সমস্ত বুথে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। আরও পড়ুন: রাত জেগে পুজো পরিক্রমা আদৌ সম্ভব? ভোট মিটলে তারপরই জানাবেন মমতা
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ কেন? প্রশ্ন তুলে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ জানাল রাজ্য