C section Delivery: ‘সিজারিয়ান বেবি’দের ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে নানারকমের সমস্যা, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাংলার স্বাস্থ্য দফতরের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 31, 2022 | 12:17 PM

C section Delivery: নির্দেশিকার বক্তব্য, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব জনস্বাস্থ্যের নিরিখে উদ্বেগজনক। ২০১৫ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, মাতৃত্বকালীন শিশুমৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে সিজারের কোন‌ও অবদান নেই।

Follow Us

কলকাতা: মা-সদ্যোজাতের স্বাস্থ্য আগে নাকি ডাক্তারবাবুর ‘টার্গেট’! স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়াকে ব্রাত্য করে সিজার বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের ঝোঁককে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা। সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে অহেতুক সিজারের সংখ্যা কমাতে অডিটের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কেন প্রসূতির সিজার করা হল তা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝাতে হবে। নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হ‌ওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বেসরকারি হাসপাতাল তো বটেই সরকারি হাসপাতালেও এখন সিজারের বাড়বাড়ন্ত। সিজারের খরচ স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় বেশি।‌ পাশাপাশি, প্রতি হাসপাতালে মাসে ক’টি সন্তান প্রসব করা হল তার টার্গেট রয়েছে। টার্গেট পূরণে সিজারে জোর দেওয়ার কথা নির্দেশিকাতেই বলা রয়েছে।

নির্দেশিকার বক্তব্য, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব জনস্বাস্থ্যের নিরিখে উদ্বেগজনক। ২০১৫ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, মাতৃত্বকালীন শিশুমৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে সিজারের কোন‌ও অবদান নেই। তাহলে ১০-১৫ শতাংশের বেশি সিজারের হার কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (৫) সমীক্ষা অনুযায়ী, সারা দেশে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার ১৭-২১ শতাংশ।‌ পশ্চিমবঙ্গে সেই হার সর্বোচ্চ। শুধু সরকারি ক্ষেত্রে এই হার ৩৪ শতাংশ।‌বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তা দ্বিগুণ। আর সে জন্য‌ই সিজার করলে কোন পরিস্থিতিতে সিজার এবার থেকে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে স্ত্রী রোগ চিকিৎসকদের।

সিজারে উদ্বেগ কেন?

অত্যধিক সিজার জনস্বাস্থ্যের নিরিখে ভাল নয়

সিজারে শিশু মস্তিষ্কের বিকাশ ধাক্কা খায়

স্বাভাবিক প্রসবের সদ্যোজাতের IQ বেশি হয়

মা-সদ্যোজাতের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব

এমনিতেই অনেকেই সিজার করাতে আগ্রহী হন না। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নানারকম দুশ্চিন্তা কাজ করে। প্রসূতির শরীরেও নানারকম প্রভাব পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সিজার কমিয়ে আনার প্রস্তাবকে অনেকটাই স্বাগত জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

চিকিৎসক অরুণ সিংহ বলেন, “সিজার করার প্রবণতা বাড়ছে। কেবল বেসরকারি ক্ষেত্রে নয়, সরকারি হাসপাতালেও হচ্ছে। তবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জন্মালে বাচ্চাদের বুদ্ধির বিকাশ অত্যন্ত ভাল হয়। যদি ধরে নেওয়া যাক, কোনও বাচ্চার ১০ এপ্রিল জন্মানোর কথা, তাকে যদি আগে বার করা হয়, তাহলে তো প্রভাব পড়বেই। প্রকৃতি ঠিক করে দিয়েছে, কোন দিনে বাচ্চাটা জন্মাবে। আমরা যদি আগেই বার করে দিই, তাহলে ব্রেন পূর্ণভাবে বিকাশ হয় না। আবার এই যে টেস্ট টিউব বেবি হচ্ছে, তাতে একটা লোককে আমরা বাবা বানাতে পারি, কিন্তু একটা সুস্থ মানুষ বানাতে পারি না। আমরা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করি, কেবল টেস্ট টিউব বেবির দিকে না যেতে। ”


স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন,  “এটা বলা আবশ্যক,  ১০-১৫ শতাংশের বেশি সিজার হওয়ার প্রয়োজন নেই। সিজার হলে মা ও বাচ্চা দুজনেরই ক্ষতি হয়। বাচ্চাকে যদি তার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বার করে আনা হয়, তাহলে তার ব্রেনের পূর্ণ বিকাশ ঘটে না। বিকাশের ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা থাকে।  নর্মাল হলে, বাচ্চাটার পুরোপুরি বিকাশ ঘটত, এক্ষেত্রে সেটি হচ্ছে না।”

আরও পড়ুন: Health Commission: স্বাস্থ্য কমিশনের এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে! মামলা একাধিক নামী বেসরকারি হাসপাতালের

আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা, তিনটি বিলে সম্মতি রাজ্যপালের

কলকাতা: মা-সদ্যোজাতের স্বাস্থ্য আগে নাকি ডাক্তারবাবুর ‘টার্গেট’! স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়াকে ব্রাত্য করে সিজার বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের ঝোঁককে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা। সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে অহেতুক সিজারের সংখ্যা কমাতে অডিটের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কেন প্রসূতির সিজার করা হল তা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝাতে হবে। নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হ‌ওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বেসরকারি হাসপাতাল তো বটেই সরকারি হাসপাতালেও এখন সিজারের বাড়বাড়ন্ত। সিজারের খরচ স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় বেশি।‌ পাশাপাশি, প্রতি হাসপাতালে মাসে ক’টি সন্তান প্রসব করা হল তার টার্গেট রয়েছে। টার্গেট পূরণে সিজারে জোর দেওয়ার কথা নির্দেশিকাতেই বলা রয়েছে।

নির্দেশিকার বক্তব্য, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব জনস্বাস্থ্যের নিরিখে উদ্বেগজনক। ২০১৫ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, মাতৃত্বকালীন শিশুমৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে সিজারের কোন‌ও অবদান নেই। তাহলে ১০-১৫ শতাংশের বেশি সিজারের হার কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (৫) সমীক্ষা অনুযায়ী, সারা দেশে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার ১৭-২১ শতাংশ।‌ পশ্চিমবঙ্গে সেই হার সর্বোচ্চ। শুধু সরকারি ক্ষেত্রে এই হার ৩৪ শতাংশ।‌বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তা দ্বিগুণ। আর সে জন্য‌ই সিজার করলে কোন পরিস্থিতিতে সিজার এবার থেকে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে স্ত্রী রোগ চিকিৎসকদের।

সিজারে উদ্বেগ কেন?

অত্যধিক সিজার জনস্বাস্থ্যের নিরিখে ভাল নয়

সিজারে শিশু মস্তিষ্কের বিকাশ ধাক্কা খায়

স্বাভাবিক প্রসবের সদ্যোজাতের IQ বেশি হয়

মা-সদ্যোজাতের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব

এমনিতেই অনেকেই সিজার করাতে আগ্রহী হন না। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নানারকম দুশ্চিন্তা কাজ করে। প্রসূতির শরীরেও নানারকম প্রভাব পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সিজার কমিয়ে আনার প্রস্তাবকে অনেকটাই স্বাগত জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

চিকিৎসক অরুণ সিংহ বলেন, “সিজার করার প্রবণতা বাড়ছে। কেবল বেসরকারি ক্ষেত্রে নয়, সরকারি হাসপাতালেও হচ্ছে। তবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জন্মালে বাচ্চাদের বুদ্ধির বিকাশ অত্যন্ত ভাল হয়। যদি ধরে নেওয়া যাক, কোনও বাচ্চার ১০ এপ্রিল জন্মানোর কথা, তাকে যদি আগে বার করা হয়, তাহলে তো প্রভাব পড়বেই। প্রকৃতি ঠিক করে দিয়েছে, কোন দিনে বাচ্চাটা জন্মাবে। আমরা যদি আগেই বার করে দিই, তাহলে ব্রেন পূর্ণভাবে বিকাশ হয় না। আবার এই যে টেস্ট টিউব বেবি হচ্ছে, তাতে একটা লোককে আমরা বাবা বানাতে পারি, কিন্তু একটা সুস্থ মানুষ বানাতে পারি না। আমরা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করি, কেবল টেস্ট টিউব বেবির দিকে না যেতে। ”


স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন,  “এটা বলা আবশ্যক,  ১০-১৫ শতাংশের বেশি সিজার হওয়ার প্রয়োজন নেই। সিজার হলে মা ও বাচ্চা দুজনেরই ক্ষতি হয়। বাচ্চাকে যদি তার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বার করে আনা হয়, তাহলে তার ব্রেনের পূর্ণ বিকাশ ঘটে না। বিকাশের ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা থাকে।  নর্মাল হলে, বাচ্চাটার পুরোপুরি বিকাশ ঘটত, এক্ষেত্রে সেটি হচ্ছে না।”

আরও পড়ুন: Health Commission: স্বাস্থ্য কমিশনের এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে! মামলা একাধিক নামী বেসরকারি হাসপাতালের

আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা, তিনটি বিলে সম্মতি রাজ্যপালের

Next Video