CBI and ED on Narada Case: বিধানসভায় ‘হাজিরা’ দিতেই হল ইডিকে, আধিকারিকরা বললেন ‘আদালতের নির্দেশ’

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 04, 2021 | 6:03 PM

CBI and ED on Narada Case: তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলা যায় যে, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকদের। কিন্তু ইডির ক্ষেত্রে তেমন কোনও নির্দেশ আদালত দেয়নি।

CBI and ED on Narada Case: বিধানসভায় হাজিরা দিতেই হল ইডিকে, আধিকারিকরা বললেন আদালতের নির্দেশ
বিধানসভায় হাজিরা দিলেন ইডি আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: অবশেষে বিধানসভায় উপস্থিত হলেন ইডি, সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই আগমন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। সিবিআইয়ের ডিএসপি এদিন উপস্থিত হন। সিবিআইয়ের টিম হাজির হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানে ইডির দুই প্রতিনিধিও আসেন। যদিও ইডির এই হাজিরা খানিকটা সকলকে চমকেই দেয়। কারণ, সোমবার সকালেই চিঠি দিয়ে এই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED) জানিয়েছিল, তাদের পক্ষে সশরীরে হাজিরা দেওয়া এদিন সম্ভব নয়।

সোমবার বিকেল চারটেয় বিধানসভায় হাজির হওয়ার কথা ছিল এই সিবিআই, ইডির প্রতিনিধিদের। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই সিবিআইয়ের ডিএসপি এসকে সিংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ জন সিবিআই আধিকারিক তাঁরা পৌঁছন। ঢুকেই চলে যান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। দীর্ঘক্ষণ এই কথাবার্তা চলে। প্রায় ৩৫ মিনিট অধ্যক্ষের ঘরে ছিলেন তাঁরা। এরই মধ্যে আবার ইডির আধিকারিকরাও এসে পৌঁছন বিধানসভা ভবনে। তাঁরাও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে পৌঁছন। একই সময় ছিলেন তাঁরাও।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলা যায় যে, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকদের। কিন্তু ইডির ক্ষেত্রে তেমন কোনও নির্দেশ আদালত দেয়নি। ইডির তরফে সোমবারই দুপুর ১২টা ৩৫ নাগাদ একটি চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে জানানো হয় যে তারা সশরীরে হাজিরা দিচ্ছেন না। কিন্তু ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে সেই ছবিটা বদলে গেল। মনে করা হচ্ছে, এমনও হতে পারে সিবিআইকে যেহেতু আদালত নির্দেশ দিতে বলেছে, ইডিও ধরে নিয়েছে তারা হাইকোর্টে গেলে একই নির্দেশ আসবে। তাই হয়তো তারাও চলে এসেছে।

সিবিআইয়ের ডেপুটি লিগ্যাল অ্যাডভাইজার আর মহাপাত্র এই বৈঠক থেকে বেরিয়ে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশেই এখানে আসা। একেবারেই সাধারণ কথাবার্তা হয়েছে। তেমন বড় কোনও বিষয়ে আলোচনা নয়। সূত্রের খবর আগামী ৭ অক্টোবর আবারও বিধানসভায় আসবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করে। এরপর ইডির বিশেষ আদালত তাঁদের নামে সমনও জারি করে। সেই সমন স্পিকারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছাতে পাঠানো হয় বিধানসভায়। কিন্তু অভিযোগ, বিধানসভা কর্তৃপক্ষ তা পাঠাতে অস্বীকার করেন। আর এই থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বিধানসভা কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।

বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, দুর্নীতি দমন আইন ১৯ (১) ধারা অনুযায়ী, বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে গেলে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমোদন নিতে হয়।  কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। অধ্যক্ষের দাবি ছিল, বিধানসভার মর্যাদা ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। বিধানসভাকে বাদ দিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসা হয়েছে। এই নিয়েই শুরু হয় জটিলতা। বিধানসভায় ডেকে পাঠানো হয় সত্যেন্দ্র সিং (ডিএসপি, সিবিআই) এবং ইডির কর্তা রথীন বিশ্বাসকে।

আরও পড়ুন: Student Protest: ‘মহিলা পুলিশ ছাড়াই ওরা মেয়েদের গাড়িতে তুলছে’, বামেদের ছাত্র বিক্ষোভে রণক্ষেত্র করুণাময়ী

Next Article