কলকাতা: গ্যাসের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করতে গিয়ে গ্রাহকদের চোখে আঁধার দেখার জোগাড়। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়ানো, একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে শোনা ‘লিঙ্ক ফেলিওর’ তো আছেই। সঙ্গে আবার একাধিক জায়গায় অভিযোগ উঠছে, এই লিঙ্ক করাতে গিয়ে ইচ্ছামতো টাকা নিচ্ছে গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটররা। বদলে একটা ‘হোস’ গছিয়ে দিচ্ছে। সাধারণ ডিস্ট্রিবিউটর থেকে মন্ত্রীর স্ত্রী, অভিযোগের আঙুল কার দিকে নেই? কিছু বললেই শাসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ। বলা হচ্ছে ‘নির্দেশ আছে’। ফলে বছর শেষে হেঁশেল বাঁচাতে গিয়ে কার্যত নাকানি চোবানি খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বায়োমেট্রিক নিয়ে চারদিকে যখন বিভ্রান্তি। তা নিরসণে পদক্ষেপ করল ইন্ডিয়ান অয়েল। আধার ভেরিফিকেশনের জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না, এবার বিবৃতি দিয়ে জানাল ইন্ডিয়ান অয়েল।
শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আধার সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য পৃথক দল তৈরি করা হয়েছে। কোনও ডিস্ট্রিবিউটর টাকা নিলে সরাসরি ফোন করে অভিযোগও জানানো যাবে বলে জানিয়েছে তারা। ১৮০০২৩৩৩৫৫৫ এই টোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে ইন্ডিয়ান ওয়েল।
গত কয়েকদিনে বারবার অভিযোগ উঠেছে, বায়োমেট্রিক করাতে গেলে টাকা নিচ্ছেন গ্যাসের ডিলাররা। কেউ চাইছেন ১৯০ টাকা, কেউ ২০০, কেউ আবার ৬০০ টাকাও নিয়ে নিচ্ছেন। বদলে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন একটা গেরুয়া রঙের পাইপ। যার পোশাকি নাম ‘হোস’। বলছেন, গ্রাহকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সুরক্ষা পাইপ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে অনেকেরই ঘরে নতুন পাইপ রয়েছে। ফলে এত টাকা দিয়ে তা নিতে রাজি হচ্ছেন না। এতেই বাধছে গোল।
গতকাল বুধবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রী সোমা বিশ্বাসের সংস্থা থেকেও ২০০ টাকা দাবি করার অভিযোগ ওঠে। পাল্টা মন্ত্রী-জায়ার দাবি, পাইপের জন্যই তা নেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকরা তা নিতে রাজি না হলে তুলকালাম বাধে। মেদিনীপুরেও এমন ছবি দেখা যায়। অবশেষে বিবৃতি এলো ইন্ডিয়ান অয়েলের কাছ থেকে।