কলকাতা: জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। মৃতার ময়নাতদন্ত নিয়ে জটিলতা। এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ পরিবার। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানি। যাতে দ্রুত শুনানি হয়, তার আবেদন জানিয়েছে পরিবার। রবিবার, ছুটির দিনে দুপুর ২টোয় শুনানি হবে।
নাবালিকার পরিবারের বক্তব্য, মৃতার ময়নাতদন্তে কোনও ভাবে রাজ্য সরকারি হাসপাতাল, রাজ্য পুলিশের অধীনে করা হবে না। এক্ষেত্রে তাঁরা কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এ বিষয়ে একটি জটিলতা রয়েছে। এর আগে এই ধরনের একাধিক অভিযোগের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় হাসপাতালে যখন ময়নাতদন্তের কথা বলা হয়, তখন একাধিক কম্যান্ড হাসপাতাল তাতে রাজি হয় না। তাদের তরফে আগের একাধিক ক্ষেত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁর হাসপাতালে সেরকম পরিকাঠামো নেই, চিকিৎসকেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
হাইকোর্ট যদি পরিবারের দাবি মেনে নিয়ে নির্দেশও দেয়, তাহলে এক্ষেত্রে জটিলতা থাকছে কম্যান্ড হাসপাতাল কী বলবে।
মৃতার পরিবারের আইনজীবী চন্দনকুমার সাহার। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের অধীনে ময়নাতদন্তে চাইছি না। পরিবার চাইছে, নিরপেক্ষ কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হোক। দেহ সংরক্ষণেরও দাবি জানিয়েছি। এই মর্মে লোকাল থানায়, ডিজি-র কাছে চিঠি করা হয়েছে। আমাদের চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে।”
নাবালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবিতে শনিবার পদ্মহাট গ্রামীণ হাসপাতাল ও কাঁটাপুকুর মর্গে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় বাম-বিজেপি। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ-উত্তেজনা। প্রসঙ্গত, এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত জয়নগর। শনিবার দিনভর চলে বিক্ষোভ। থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। রবিবারও রাস্তায় প্রতিবাদে সামিল গ্রামবাসীরা।