TV9 বাংলা ডিজিটাল: নাম বদলাচ্ছে মাঝেরহাট ব্রিজের। নেতাজীর আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখতে মাঝেরহাট ব্রিজের নতুন নাম ‘জয় হিন্দ’ (Majherhat Bridge Joy Hind)। উদ্বোধনের দুদিন আগে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বললেন, “৩ ডিসেম্বর বিকাল পাঁচটায় উদ্বোধন করা হবে মাঝেরহাট ব্রিজের। নতুন নাম হবে জয় হিন্দ। কলকাতার সমস্ত কমিউনিটি হলের নামও জয় হিন্দ করা হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “নেতাজীর ১২৫তম জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করতেই সরকার একাধিক উদ্যোগ নেবে। তারমধ্যে এটি প্রথম। আমি চাই জয় হিন্দ নামটা লোকের মুখে মুখে ঘুরবে।”
রাজনৈতিক মহল অবশ্য এর অন্য ব্যাখ্যা করছে। বিরোধীদের অভিযোগ, একুশের নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার নেতাজীকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। লক্ষ্য বাঙালির আবেগ। কিছুদিন আগেই নেতাজীর জন্মদিন, ২৩ জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নেতাজীকে ঘিরে যা কিছু অজানা, সে সব প্রকাশ্যে আনতে নেতাজী সংক্রান্ত বিভিন্ন গোপন ফাইল রাজ্য সরকার আগেই প্রকাশ্যে এনেছে।
এইভাবে শাসকদল রাজনৈতিক লাভ ঘরে তুলতে চাইছে বলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। কারণ ২০১৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই নেতাজী-সংক্রান্ত ৬৪টি ‘গোপন’ ফাইলগুলি প্রকাশ আনে মমতা সরকার। যদিও তখনও কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। কেন্দ্রের হাতে থাকা নেতাজী-সংক্রান্ত ‘গোপন’ ফাইলগুলি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। সেগুলি কবে প্রকাশ করা হবে, সেই ছবিটাও স্পষ্ট নয়। নেতাজি ফাইল প্রকাশ্যে আনা নিয়ে ‘অ্যাডভান্টেজ’ পেয়ে যাওয়া মমতাকে সহজে জমি ছাড়তে চাননি মোদী।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়?
তবে নেতাজীকে নিয়ে এই দড়ি টানাটানিতে ক্ষুব্ধ অনেকেই। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, নেতাজীকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। তাতে কিছুটা ক্ষুব্ধ বর্তমান বসু পরিবারের একাধিক সদস্যও।