
কলকাতা : উত্তরবঙ্গে জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের। “কোনও জমিদাতা জমি দেওয়ার পর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য সরকারি দফতরে দফতরে দরবার করবেন, এটা হতে পারে না। যেহেতু জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে, তাই সরকারেরই দায়িত্ব জমিদাতাকে তাঁর ন্যায্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।” উত্তরবঙ্গে জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণে যথাযথ ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগের মামলায় সোমবার এই পর্যবেক্ষণ জানালেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। সোমবার আদালত ওই মামলায় একগুচ্ছ নির্দেশ দেয়। দশ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যদি মিটমাট না হয় দশ দিনের মধ্যে, তাহলে মধ্যস্থতার কথা বলা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে মামলাকারীরা নতুন করে আরবিট্রেশন বা মধ্যস্থতার জন্য ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। তার পরের ছ’মাসের মধ্যে ওই আবেদনের মীমাংসা করতে হবে। পুরনো আইন নয়, ২০১৩ সালের কেন্দ্রের নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন মেনে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করতে হবে বলে এ দিন জানিয়েছেন আদালত। আলিপুরদুয়ারের চ্যাংপাড়া মৌজার তপন দত্ত, সুশীল রায় ও কবিচন রায়ের দায়ের করা মামলায় জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে।
আইনজীবীদের মতে, যেহেতু ২০১৫ সালে এই অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে, তাই ২০১৩ সালের নতুন আইনের প্রয়োগ এই ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে চেয়েছে আদালত। মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “কয়েকদিন আগে তথ্যের অধিকার আইনে রাজ্য জানিয়েছিল, এই রাজ্যে জমি অধিগ্রহণে কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকর করা হয়নি। তবে জাতীয় সড়কে জন্য অধিগ্রহণে ওই আইন মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এবার হাইকোর্টও নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় রাজ্যের বহু এলাকায় জমিদাতারা উপকৃত হবেন। নির্দেশ কার্যকর হলে, বহু মামলাও সেক্ষেত্রে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।”