কলকাতা : শুক্রবার নবনির্মিত জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক (TMC Working Committee Meeting) দলকে সাংগঠনিক দিক থেকে আরও মজবুত করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস যখন সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজের অস্তিত্ব আরও স্পষ্ট করতে চাইছে, তখন সংগঠনের রাশ কার্যত নিজের হাতে রেখে দিয়ে গোটা সাংগঠনিক বিষয়টি পরিচালনা করতে চাইছেন দলনেত্রী। তৃণমূল সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তাই নেত্রীর সাফ বার্তা, “দল বড় হচ্ছে। এক জোট হয়ে কাজ করতে হবে।” উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে বার বার তৃণমূলের অন্দরে কোন্দলের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এতদিন তা ছিল কেবল নীচু তলায়। কিন্তু এখন তা বিধায়ক – সাংসদ স্তরেও উঠে এসেছে। বিশেষ করে তৃণমূলের অভ্যন্তরে শক্তির প্রধান ভরকেন্দ্র কাকে ঘিরে আবর্তিত হবে – মমতা না অভিষেক – তা নিয়ে দলের নেতাদের মধ্যে একটি আড়াআড়ি বিভাজন তৈরি হয়েছে বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের একাধিক প্রথম সারির নেতাকে প্রকাশ্যে বিতর্কে জড়াতে দেখা গিয়েছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষ, মদন মিত্র – সাম্প্রতিক অতীতে তিন নেতার সৌজন্যে বার বার বেআব্রু হয়েছে তৃণমূলের উপর তলার দ্বন্দ্ব। শুধু তাই নয়, দলের যুব নেতাদের মধ্যেও কিছুদিন আগেই এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে ঘিরে কার্যত এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার ভঙ্গিমা দেখা গিয়েছে। ফেসবুক, টুইটারে একাধিক যুব নেতার পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকেও।
এমনকী বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের মধ্যেও এক বিভাজনের বাতাবরণ নিয়ে জোর চর্চা চলেছে বিগত কিছুদিনে। সৌজন্যে অভিষেকের ভাইয়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। দাদার (অভিষেকের) পাশে দাঁড়িয়ে তিনিও এক ব্যক্তি এক পদ নীতিকে সমর্থন করেছিলেন। এই সবের মধ্যেই মমতার এক জোট থাকার বার্তা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন : পদ ফিরে পেলেন অভিষেক! একাই সামলাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব