TMC Working Committee: জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বসার আগে মমতা-অভিষেক একান্ত আলোচনা! বাড়ছে কৌতুহল
TMC Working Committee: দলীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুক্ষণ ধরে অভিষেকের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের যে দুইজনকে কেন্দ্র করে নীচুতলায় এক আড়াআড়ি বিভাজনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতিতে মমতা অভিষেক এই একান্ত আলোচনা, তৃণমূলের সাংগঠনিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা : শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির (TMC Working Committee) বৈঠক রয়েছে। তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এক প্রস্থ একান্ত কথাবার্তা হয়ে যায়। বর্তমানে তৃণমূলের অন্দরে যে শক্তি-সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে নবনির্মিত কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকের ঠিক আগে মমতা-অভিষেক এই একান্ত আলোচনা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর পাশাপাশি কর্মসমিতির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূল সূত্রের দাবি, কালীঘাটে একের পর এক যে নেতারা ঢুকেছেন, তাঁদের অনেকের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও শুক্রবার বিকেলে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে ঢোকার পর, তাঁর সঙ্গে একান্তে কথা বার্তা বলেন মমতা।
দলীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুক্ষণ ধরে অভিষেকের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের যে দুইজনকে কেন্দ্র করে নীচুতলায় এক আড়াআড়ি বিভাজনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতিতে মমতা অভিষেক এই একান্ত আলোচনা, তৃণমূলের সাংগঠনিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে শুক্রবার যখন দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদের বণ্টন হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে এই দুই মূল শক্তিস্তম্ভের মধ্যে একান্ত আলোচনায় রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট গুঞ্জন ছড়িয়েছে এবং একইসঙ্গে বাড়ছে কৌতুহলও।
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী পদ দেওয়া হবে বা আদৌ কোনও পদ দেওয়া হবে কি না সেই নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। তবে তৃণমূলের একাধিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিষেককে একেবারে বৃত্তের বাইরে বের করে দেওয়ার কোনও চিন্তাভাবনা নেই দলনেত্রীর। বরং অভিষেক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে পারেন। অবশ্য, এ ক্ষেত্রে অভিষেক একা নন, আরও কয়েকজনকে এই একই পদে বসানো হতে পারে। অর্থাৎ, দলে এবার একাধিক সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থাকতে পারেন বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির যাঁরা সদস্য রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই একে একে কালীঘাটে মমতার বাসভবনে ঢুকেছেন। এছাড়াও এমন অনেক নেতাকেও কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছে, যাঁরা জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য নন। সেই তালিকায় রয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো এবং ত্রিপুরার সুবল ভৌমিকের মতো বেশ কিছু বড় মুখ।
আরও পড়ুন : Jodhpur Park Coffee Shop Case: দক্ষিণ কলকাতায় ক্যাফেতে ঢুকে তোলাবাজি! এক রাতের গ্রেফতারি, জামিন ৫ জনেরই
আরও পড়ুন : Dilip Ghosh on Jodhpur Park issue: ‘আগে মস্তানরা তোলাবাজি করত, এখন নেতারা করেন’