Bangla NewsKolkata Mamata Banerjee: Mamata Banerjee inaugurated the new Yoggyashree Scheme
CM Mamata Banerjee: ধনধান্য স্টেডিয়ামে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সূচনা করলেন মমতা
CM Mamata Banerjee: মমতা: আমায় একবার একজন বললেন আমার টাকা নেই। মেয়েকে পড়াতে পাড়ছি না। কোনও স্কিমের আওতায় আসতে পারছি না। আমার মেয়েকে যদি স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ করে দেওয়া হয়। আমি প্রশ্ন করলাম মেয়েটি কত শতাংশ নম্বর পেয়েছে? বলল ৬০ শতাংশ পেয়েছে।
Follow Us
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পড়ুয়া সপ্তাহ পালন রাজ্য সরকারের। ভাঙর ডিভিশনের উদ্বোধন করেন তিনি। ভাঙর থানা,উত্তর কাশীপুর,চন্দনেশ্বর,পোলেরহাট থানারও উদ্বোধন করেন তিনি। মঞ্চে রয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ বিশেষ করে তপশিলি জাতি ও আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে সরকারি চাকরির প্রবেশিকা থেকে শুরু করে JEE, NEET ও WBJEE পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সর্বশেষ তথ্য উপরে
মমতা: গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ভালবাসতেন। একদিন বললেন, মমতা একটা শোনাবে গো…। আমি ছেড়ে দিয়েছি। কোন ছোটবেলায় শিখেছিলাম। তোমায় কী করে শোনাব। কিছুতেই ছাড়ছেন না। তারপর বললাম ভুলভাল দুলাইন গাইছি। সন্ধ্যাদি বললাম তোমার সুর এত সুন্দর কী করে হল। আমি বললাম ছোটবেলায় গান শিখেছি।
মমতা: আজ নির্মলা মিশ্র বেঁচে নেই। উনি খুব ভালবাসতেন আমায়। নির্মলাদি বসে আছেন। মণি সান্যাল তখন বামফ্রন্ট আমলে ডেপুটি মেয়র ছিলেন কলকাতা পুরসভার। একটা শোকসভা হচ্ছিল চেতলা পার্কে। নির্মলাদিকে শোকের গান গাইতে বলা হল। উনি আমায় খোঁচাচ্ছেন বলছেন বল না কোনটা গাইব। আমি বললাম ভরা থাক গাও, বললেন ওইটা জানি না, তারপর বললেন দাঁড়িয়ে আছ গাইব। কিন্তু তুই পিছন থেকে আমায় কথা সাপ্লাই করবি। আমি বললাম ঠিক আছে। পিছন থেকে আমি কথা সাপ্লাই করছি আর উনি সুর ধরছেন।
মমতা:দ্বিজেনদা যোগমায়া দেবীতে এসেছিলেন। উনি বললেন মমতা আমি গাওয়ার আগে তুমি গাইবে আমার অর্ডার।
মমতা:আমি বাংলায় ঘুরে বেড়াই। যত কিছু চোখে পড়েছে সব কবিতার ভাষায়, গদ্যের ভাষায় লিখেছি। ‘আলোক বর্তিকা’ যখন পড়ুয়া বিপদে পড়বেন এই বইটা পড়লে বুঝতে পারবেন কোন সময় কোনটা পড়লে মন ভাল হয়। উন্নত মানুষ হওয়া যায়
মমতা:আমার জীবনের আদর্শ স্বামীজীর বই থেকে তৈরি করেছি। আমি একটা বই লিখেছি। দুবছর আগে বই বেরিয়েছে পড়ুয়াদের জানা দরকার স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেকের নাম জানি, অনেকের জানি না। মেয়েদের একটা বড় ভূমিকা ছিল। পঞ্চাশজন মহিলাকে নিয়ে একটা বই লিখেছি। নাম মহিয়শি মহিলা নাম বইটার। এডিকেসন ডিপার্টমেন্টকে বলব, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের লেখা তরুণের স্বপ্ন বইটা এডুকেশনে যেন রাখা হয়।”
মমতা: স্কুলছুটের হার কমেছে। আমাদের রাজ্য দেশের মধ্যে এডুকেশন সেক্টরে সেরার শিরোপা পেয়েছে। স্কট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার শীর্ষে বাংলা। বাংলার ছেলেমেয়েদের। আর ভারতে যাদবপুর ও কলকাতা টপ বিশ্ববিদ্যালয়।
মমতা: অনেকে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে অনেক কুকথা বলে, আমাকে কেউ দশটা গালি দিক আমার গায়ে লাগে না। কারণ গালাগালি খেতে খেতে আমি অভ্যস্থ। তবে বাংলাকে গালি দিলে আমার গায়ে লাগবে। বাংলাকে কেউ নিচু করলে আমার আপত্তি আছে। ভারতের মধ্যে শ্রীরামপুর থানা বেস্ট থানা ঘোষিত হয়েছে। কলকাতা বেস্ট সিটি। র্যাগিং নির্মুলে আমরা টোল ফ্রি নম্বর চালু হয়েছে। ১৮০০৩৪৫৫৬৭৮ এটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। প্রতিটি কলেজের নোটিস বোর্ডে এটা লেখা থাকবে।
মমতা: কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত ভাঙড় ডিভিশনের পোলের হাট, কাশীপুর, চন্দনেশ্বর, ভাঙড় থানার নতুন ভবন, ভাঙন ট্রাফিক গার্ডের অফিস আজ উদ্বোধন হল। এটা কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন হল। খেয়াদা ১ ও খেয়াদা ২ কেও নিয়ে নিতে। এটা বানতলার পাশে। ওই খানে দেখার কেউ থাকছে না বলে পিতৃমাতৃহীন হয়ে পড়ে আছে। অনেকে অনেক কাজ করছে। তার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের সময়ে আমরা ৬ পুলিশ কমিশনারেট, ৬টা পুলিশ জেলা, ৯ ব্যাটেলিয়ান, ৪৩ মহিলা থানা,১৭৩ নতুন থানা, ৮টি উপকূল থানা, ৩৫ সাইবার থানা, আমরা ফাস্ট ট্রাক করেছি।
মমতা: বাংলায় সবচেয়ে পাশের সংখ্যা বেশি অল ইন্ডিয়া ট্রেড টেস্টে। আমরা স্কিল ট্রেনিংয়ে উৎকর্ষ বাংলা তৈরি করি। তাদের আইটিআই ট্রেনিং দিয়ে যে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে দরকার সে সেখানে চাকরি যাতে পায় সেই চেষ্টা করি। সেই ক্ষেত্রে আমরা স্কিল ট্রেনিং কর্মসূচিতে দেশের মধ্যে এক নম্বরে। এর জন্য ইউনাইটেড নেশনের স্কচ গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
মমতা: এ বছর আরও একটা নতুন স্কিম চালু করলাম। স্টুডেন্ট ইনটার্নশিপ স্কিম। আজ থেকেই শুরু হল। আমি চাই ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা সরকারি কাজের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিক। এই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পাবে। এক বছরের জন্য আড়াই হাজার পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে তাদের। পড়ুয়াদের যোগ্যতার বিচারে তাদের চাকরি রিনিউ হবে। এই ভাবে গ্রাসরুট থেকে লোক তুলে আনার চেষ্টা করছি আমরা। ইনটার্নশিপ করার সময় দশ হাজার টাকা রেগুনারেশান পাবেন। ছাত্র জীবন থেকে প্রশাসনিক ধারনা হয়ে যাবে। এ বছর আরও একটা নতুন স্কিম চালু করলাম। আজ থেকেই শুরু হল। আমি চাই ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা সরকারি কাজের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিক। এই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পাবে। এক বছরের জন্য আড়াই হাজার পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে তাদের। পড়ুয়াদের যোগ্যতার বিচারে তাদের চাকরি রিনিউ হবে। এই ভাবে গ্রাসরুট থেকে লোক তুলে আনার চেষ্টা করছি আমরা। ইনটার্নশিপ করার সময় দশ হাজার টাকা রেগুনারেশান পাবেন। ছাত্র জীবন থেকে প্রশাসনিক ধারনা হয়ে যাবে। এ বছর আরও একটা নতুন স্কিম চালু করলাম। আজ থেকেই শুরু হল। আমি চাই ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা সরকারি কাজের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিক। এই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পাবে। এক বছরের জন্য আড়াই হাজার পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে তাদের। পড়ুয়াদের যোগ্যতার বিচারে তাদের চাকরি রিনিউ হবে। এই ভাবে গ্রাসরুট থেকে লোক তুলে আনার চেষ্টা করছি আমরা। ইনটার্নশিপ করার সময় দশ হাজার টাকা রেগুনারেশান পাবেন। ছাত্র জীবন থেকে প্রশাসনিক ধারনা হয়ে যাবে। এ বছর আরও একটা নতুন স্কিম চালু করলাম। আজ থেকেই শুরু হল। আমি চাই ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা সরকারি কাজের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিক। এই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পাবে। এক বছরের জন্য আড়াই হাজার পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে তাদের। পড়ুয়াদের যোগ্যতার বিচারে তাদের চাকরি রিনিউ হবে। এই ভাবে গ্রাসরুট থেকে লোক তুলে আনার চেষ্টা করছি আমরা। ইনটার্নশিপ করার সময় দশ হাজার টাকা রেগুনারেশান পাবেন। ছাত্র জীবন থেকে প্রশাসনিক ধারনা হয়ে যাবে।
মমতা: আজ একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিলাম এসটি এসসি পড়ুয়াদের জন্য। বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষা থেকে শুরু করে JEE, NEET ও WBJEE পরীক্ষার জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আজ থেকে করা হল। এর নাম দিলাম যোগ্যশ্রী। আগেও করেছি, ২ হাজার ২৫৪ জন ট্রেনিং নিয়ে কোর্সে চান্স পেয়েছে। জেলায়-জেলায় পঞ্চাশ সেন্টার চালু হয়েছে। চাকরির পরীক্ষার ট্রেনিংয়ের জন্য জেলায়য় দুটি করে মোট ৪৬ সেন্টার করা হচ্ছে।
মমতা: ST স্কুলের হস্টেলের টাকা বৃদ্ধি হয়ে আঠারশো হয়েছে। এটা অনেকে জানতেনা। জানবার সুযোগ থাকে না। কারণ মিডিয়া নেগেটিভ প্রচার করে।
মমতা: ওবিসি স্কিমের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করলেও আমরা মেধাশ্রী চালু করেছি। ২ লক্ষ ৫৪ হাজার পড়ুয়া স্কলারশিপ পেয়েছেন। এ বছরে আরও ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ছেলেমেয়ে এই টাকা পাবেন।
মমতা: আমায় একবার একজন বললেন আমার টাকা নেই। মেয়েকে পড়াতে পাড়ছি না। কোনও স্কিমের আওতায় আসতে পারছি না। আমার মেয়েকে যদি স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ করে দেওয়া হয়। আমি প্রশ্ন করলাম মেয়েটি কত শতাংশ নম্বর পেয়েছে? বলল ৬০ শতাংশ পেয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দিলাম ৭৫ শতাংশ কমিয়ে ষাট শতাংশ করো। আজকাল ফ্রাস্ট ডিভিশনে বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে পাশ করে। আমাদের সময়ে সেকেন্ডিভিশনে পাশ করলেই মনে করত অনেক কিছু করেছে।
মমতা: আমার মনে আছে। বাবা মারা গেছেন। আমার গলায় মটর মালার হার ছিল। সেটা বিক্রি করে আমি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। গরিব হয়ে জন্মানো কি অপরাধ?
মমতা: মাটি দিবস আমরা শুরু করেছি। এরপর ২০১৬ সালে ইউনাইটেড নেশান সেটা শুরু করে। অনেকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অবজ্ঞা করেন। কেউ ইংরেজিতে কথা বলতে না পারলে আমরা ভাবি সে মানুষ নয়। স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কোন ইংরেজি মিডিয়াম থেকে পড়েছিলেন? এখন আমরা ছেলেমেয়েদের বলছি ইংরেজি পড়তে। বামফ্রন্ট সরকারের সময় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি বন্ধ ছিল। আমরা চালু করেছি শুরু থেকে। নতুন ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলও করেছি। তবে বাংলাও পড়তে হবে। নিজের মাতৃভাষা জানতে হবে। আমাদের অনেক ডাবলুবিপিএস অফিসাররা ভাল করে ডাব করতে পারতেন না বলে অনেক কথা শুনতে হত। আমরা তাঁদের এখন গ্রেট ব্রিটেন, ইউকে পাঠাই। তাঁদের ইংরেজি শিক্ষার জন্য তিন মাসের কোর্স করে দিয়েছি।
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পড়ুয়া সপ্তাহ পালন রাজ্য সরকারের। ভাঙর ডিভিশনের উদ্বোধন করেন তিনি। ভাঙর থানা,উত্তর কাশীপুর,চন্দনেশ্বর,পোলেরহাট থানারও উদ্বোধন করেন তিনি। মঞ্চে রয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ বিশেষ করে তপশিলি জাতি ও আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে সরকারি চাকরির প্রবেশিকা থেকে শুরু করে JEE, NEET ও WBJEE পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সর্বশেষ তথ্য উপরে
মমতা: গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ভালবাসতেন। একদিন বললেন, মমতা একটা শোনাবে গো…। আমি ছেড়ে দিয়েছি। কোন ছোটবেলায় শিখেছিলাম। তোমায় কী করে শোনাব। কিছুতেই ছাড়ছেন না। তারপর বললাম ভুলভাল দুলাইন গাইছি। সন্ধ্যাদি বললাম তোমার সুর এত সুন্দর কী করে হল। আমি বললাম ছোটবেলায় গান শিখেছি।
মমতা: আজ নির্মলা মিশ্র বেঁচে নেই। উনি খুব ভালবাসতেন আমায়। নির্মলাদি বসে আছেন। মণি সান্যাল তখন বামফ্রন্ট আমলে ডেপুটি মেয়র ছিলেন কলকাতা পুরসভার। একটা শোকসভা হচ্ছিল চেতলা পার্কে। নির্মলাদিকে শোকের গান গাইতে বলা হল। উনি আমায় খোঁচাচ্ছেন বলছেন বল না কোনটা গাইব। আমি বললাম ভরা থাক গাও, বললেন ওইটা জানি না, তারপর বললেন দাঁড়িয়ে আছ গাইব। কিন্তু তুই পিছন থেকে আমায় কথা সাপ্লাই করবি। আমি বললাম ঠিক আছে। পিছন থেকে আমি কথা সাপ্লাই করছি আর উনি সুর ধরছেন।
মমতা:দ্বিজেনদা যোগমায়া দেবীতে এসেছিলেন। উনি বললেন মমতা আমি গাওয়ার আগে তুমি গাইবে আমার অর্ডার।
মমতা:আমি বাংলায় ঘুরে বেড়াই। যত কিছু চোখে পড়েছে সব কবিতার ভাষায়, গদ্যের ভাষায় লিখেছি। ‘আলোক বর্তিকা’ যখন পড়ুয়া বিপদে পড়বেন এই বইটা পড়লে বুঝতে পারবেন কোন সময় কোনটা পড়লে মন ভাল হয়। উন্নত মানুষ হওয়া যায়
মমতা:আমার জীবনের আদর্শ স্বামীজীর বই থেকে তৈরি করেছি। আমি একটা বই লিখেছি। দুবছর আগে বই বেরিয়েছে পড়ুয়াদের জানা দরকার স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেকের নাম জানি, অনেকের জানি না। মেয়েদের একটা বড় ভূমিকা ছিল। পঞ্চাশজন মহিলাকে নিয়ে একটা বই লিখেছি। নাম মহিয়শি মহিলা নাম বইটার। এডিকেসন ডিপার্টমেন্টকে বলব, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের লেখা তরুণের স্বপ্ন বইটা এডুকেশনে যেন রাখা হয়।”
মমতা: স্কুলছুটের হার কমেছে। আমাদের রাজ্য দেশের মধ্যে এডুকেশন সেক্টরে সেরার শিরোপা পেয়েছে। স্কট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার শীর্ষে বাংলা। বাংলার ছেলেমেয়েদের। আর ভারতে যাদবপুর ও কলকাতা টপ বিশ্ববিদ্যালয়।
মমতা: অনেকে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে অনেক কুকথা বলে, আমাকে কেউ দশটা গালি দিক আমার গায়ে লাগে না। কারণ গালাগালি খেতে খেতে আমি অভ্যস্থ। তবে বাংলাকে গালি দিলে আমার গায়ে লাগবে। বাংলাকে কেউ নিচু করলে আমার আপত্তি আছে। ভারতের মধ্যে শ্রীরামপুর থানা বেস্ট থানা ঘোষিত হয়েছে। কলকাতা বেস্ট সিটি। র্যাগিং নির্মুলে আমরা টোল ফ্রি নম্বর চালু হয়েছে। ১৮০০৩৪৫৫৬৭৮ এটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। প্রতিটি কলেজের নোটিস বোর্ডে এটা লেখা থাকবে।
মমতা: কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত ভাঙড় ডিভিশনের পোলের হাট, কাশীপুর, চন্দনেশ্বর, ভাঙড় থানার নতুন ভবন, ভাঙন ট্রাফিক গার্ডের অফিস আজ উদ্বোধন হল। এটা কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন হল। খেয়াদা ১ ও খেয়াদা ২ কেও নিয়ে নিতে। এটা বানতলার পাশে। ওই খানে দেখার কেউ থাকছে না বলে পিতৃমাতৃহীন হয়ে পড়ে আছে। অনেকে অনেক কাজ করছে। তার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের সময়ে আমরা ৬ পুলিশ কমিশনারেট, ৬টা পুলিশ জেলা, ৯ ব্যাটেলিয়ান, ৪৩ মহিলা থানা,১৭৩ নতুন থানা, ৮টি উপকূল থানা, ৩৫ সাইবার থানা, আমরা ফাস্ট ট্রাক করেছি।
মমতা: বাংলায় সবচেয়ে পাশের সংখ্যা বেশি অল ইন্ডিয়া ট্রেড টেস্টে। আমরা স্কিল ট্রেনিংয়ে উৎকর্ষ বাংলা তৈরি করি। তাদের আইটিআই ট্রেনিং দিয়ে যে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে দরকার সে সেখানে চাকরি যাতে পায় সেই চেষ্টা করি। সেই ক্ষেত্রে আমরা স্কিল ট্রেনিং কর্মসূচিতে দেশের মধ্যে এক নম্বরে। এর জন্য ইউনাইটেড নেশনের স্কচ গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
মমতা: এ বছর আরও একটা নতুন স্কিম চালু করলাম। স্টুডেন্ট ইনটার্নশিপ স্কিম। আজ থেকেই শুরু হল। আমি চাই ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা সরকারি কাজের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিক। এই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পাবে। এক বছরের জন্য আড়াই হাজার পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে তাদের। পড়ুয়াদের যোগ্যতার বিচারে তাদের চাকরি রিনিউ হবে। এই ভাবে গ্রাসরুট থেকে লোক তুলে আনার চেষ্টা করছি আমরা। ইনটার্নশিপ করার সময় দশ হাজার টাকা রেগুনারেশান পাবেন। ছাত্র জীবন থেকে প্রশাসনিক ধারনা হয়ে যাবে। এ বছর আরও একটা নতুন স্কিম চালু করলাম। আজ থেকেই শুরু হল। আমি চাই ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা সরকারি কাজের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিক। এই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পাবে। এক বছরের জন্য আড়াই হাজার পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে তাদের। পড়ুয়াদের যোগ্যতার বিচারে তাদের চাকরি রিনিউ হবে। এই ভাবে গ্রাসরুট থেকে লোক তুলে আনার চেষ্টা করছি আমরা। ইনটার্নশিপ করার সময় দশ হাজার টাকা রেগুনারেশান পাবেন। ছাত্র জীবন থেকে প্রশাসনিক ধারনা হয়ে যাবে। এ বছর আরও একটা নতুন স্কিম চালু করলাম। আজ থেকেই শুরু হল। আমি চাই ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা সরকারি কাজের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিক। এই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পাবে। এক বছরের জন্য আড়াই হাজার পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে তাদের। পড়ুয়াদের যোগ্যতার বিচারে তাদের চাকরি রিনিউ হবে। এই ভাবে গ্রাসরুট থেকে লোক তুলে আনার চেষ্টা করছি আমরা। ইনটার্নশিপ করার সময় দশ হাজার টাকা রেগুনারেশান পাবেন। ছাত্র জীবন থেকে প্রশাসনিক ধারনা হয়ে যাবে। এ বছর আরও একটা নতুন স্কিম চালু করলাম। আজ থেকেই শুরু হল। আমি চাই ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা সরকারি কাজের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিক। এই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পাবে। এক বছরের জন্য আড়াই হাজার পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে তাদের। পড়ুয়াদের যোগ্যতার বিচারে তাদের চাকরি রিনিউ হবে। এই ভাবে গ্রাসরুট থেকে লোক তুলে আনার চেষ্টা করছি আমরা। ইনটার্নশিপ করার সময় দশ হাজার টাকা রেগুনারেশান পাবেন। ছাত্র জীবন থেকে প্রশাসনিক ধারনা হয়ে যাবে।
মমতা: আজ একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিলাম এসটি এসসি পড়ুয়াদের জন্য। বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষা থেকে শুরু করে JEE, NEET ও WBJEE পরীক্ষার জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আজ থেকে করা হল। এর নাম দিলাম যোগ্যশ্রী। আগেও করেছি, ২ হাজার ২৫৪ জন ট্রেনিং নিয়ে কোর্সে চান্স পেয়েছে। জেলায়-জেলায় পঞ্চাশ সেন্টার চালু হয়েছে। চাকরির পরীক্ষার ট্রেনিংয়ের জন্য জেলায়য় দুটি করে মোট ৪৬ সেন্টার করা হচ্ছে।
মমতা: ST স্কুলের হস্টেলের টাকা বৃদ্ধি হয়ে আঠারশো হয়েছে। এটা অনেকে জানতেনা। জানবার সুযোগ থাকে না। কারণ মিডিয়া নেগেটিভ প্রচার করে।
মমতা: ওবিসি স্কিমের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করলেও আমরা মেধাশ্রী চালু করেছি। ২ লক্ষ ৫৪ হাজার পড়ুয়া স্কলারশিপ পেয়েছেন। এ বছরে আরও ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ছেলেমেয়ে এই টাকা পাবেন।
মমতা: আমায় একবার একজন বললেন আমার টাকা নেই। মেয়েকে পড়াতে পাড়ছি না। কোনও স্কিমের আওতায় আসতে পারছি না। আমার মেয়েকে যদি স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ করে দেওয়া হয়। আমি প্রশ্ন করলাম মেয়েটি কত শতাংশ নম্বর পেয়েছে? বলল ৬০ শতাংশ পেয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দিলাম ৭৫ শতাংশ কমিয়ে ষাট শতাংশ করো। আজকাল ফ্রাস্ট ডিভিশনে বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে পাশ করে। আমাদের সময়ে সেকেন্ডিভিশনে পাশ করলেই মনে করত অনেক কিছু করেছে।
মমতা: আমার মনে আছে। বাবা মারা গেছেন। আমার গলায় মটর মালার হার ছিল। সেটা বিক্রি করে আমি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। গরিব হয়ে জন্মানো কি অপরাধ?
মমতা: মাটি দিবস আমরা শুরু করেছি। এরপর ২০১৬ সালে ইউনাইটেড নেশান সেটা শুরু করে। অনেকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অবজ্ঞা করেন। কেউ ইংরেজিতে কথা বলতে না পারলে আমরা ভাবি সে মানুষ নয়। স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কোন ইংরেজি মিডিয়াম থেকে পড়েছিলেন? এখন আমরা ছেলেমেয়েদের বলছি ইংরেজি পড়তে। বামফ্রন্ট সরকারের সময় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি বন্ধ ছিল। আমরা চালু করেছি শুরু থেকে। নতুন ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলও করেছি। তবে বাংলাও পড়তে হবে। নিজের মাতৃভাষা জানতে হবে। আমাদের অনেক ডাবলুবিপিএস অফিসাররা ভাল করে ডাব করতে পারতেন না বলে অনেক কথা শুনতে হত। আমরা তাঁদের এখন গ্রেট ব্রিটেন, ইউকে পাঠাই। তাঁদের ইংরেজি শিক্ষার জন্য তিন মাসের কোর্স করে দিয়েছি।