Wedding invitation Fraud: অনলাইনে বিয়ের নিমন্ত্রণ পাচ্ছেন? পড়তে পারেন মহা ফাঁপড়ে
Wedding invitation Fraud: হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও কর্নাটকের কয়েকশো মানুষ প্রতারিত হয়ে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাতেই নতুন কেলেঙ্কারির বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। একটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত। এটা কিন্তু লিঙ্ক পাঠিয়ে প্রতারণার চেনা ছক নয়। বরং এখানে ফ্রডস্টাররা এমন জাল পেতেছে, তাতে সাইবার বিশেষজ্ঞরাও চমকে যাচ্ছেন।
পুজো শেষ। এবার শীতের অপেক্ষা। আর শীতের অনেকগুলো আকর্ষণের মধ্যে অন্যতম – বিয়েবাড়ি। এখন তো বাড়ি বাড়ি ঘিরে নিমন্ত্রণ করা ব্যাপারটা উঠেই গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বা ই- মেলেই ভার্চুয়াল ইনভাইটেশন চলে আসে। তবে এখন থেকে অনলাইনে এই ধরনের ইনভাইটেশন পেলে ক্লিক করার আগে পাঁচবার ভাবুন। যিনি ইনভাইটেশন পাঠিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁকে ফোন করুন। নিশ্চিত হতে যে তিনিই অনলাইনে ইনভাইটেশন পাঠিয়েছেন। সতর্ক না হলে কিন্তু সর্বনাশ। আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তো সাফ হবেই, উলটে আপনার ফোনের সব পার্সোনাল ডাটাও বেহাত হয়ে যাবে। আর সেটা হবে মাত্র দু থেকে আড়াই মিনিটে। হয়তো আপনাকে ব্ল্যাকমেলিং-র মুখেও পড়তে হবে। হিমাচল, কর্নাটকের একাধিক ভুক্তভোগীর ক্ষেত্রে যা হয়েছে। আপনি বলতেই পারেন, আমার আত্মীয়, তার বিয়ে, সে নিজে ইনভাইটেশন পাঠাচ্ছে, সেখানে ফ্রডের কথা আসছে কী করে? আসছে, আসছে।
আপনি যাঁকে আত্মীয়ের পাঠানো মেসেজ মনে করছেন, হতে পারে সেটা একটা এপিকে ফাইল। আপনার আত্মীয়ের যে নম্বর, তার কাছাকাছি একটা ফোন নম্বর থেকে সেটা পাঠানো হয়েছে। আপনি ওই ফাইলে ক্লিক করলেই সেটা আপনার ফোনে স্টোর হয়ে যাবে। এবং দ্রুত আপনার ফোনে থাকা যাবতীয় পার্সোনাল ডিটেলস স্টোর করে নেবে। ব্যাঙ্কিং অ্যাপ, গ্যালারি ও আপনার চ্যাট হিস্ট্রি – সবকিছু। আপনি কিছুক্ষণ পরে যদি বিষয়টা বুঝতেও পারেন, ততক্ষণে গুলি বন্দুক থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও কর্নাটকের কয়েকশো মানুষ প্রতারিত হয়ে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাতেই নতুন কেলেঙ্কারির বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। একটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত। এটা কিন্তু লিঙ্ক পাঠিয়ে প্রতারণার চেনা ছক নয়। বরং এখানে ফ্রডস্টাররা এমন জাল পেতেছে, তাতে সাইবার বিশেষজ্ঞরাও চমকে যাচ্ছেন। প্রতারকরা আসলে মনের সঙ্গে খেলছে। ওরা জানে, সামনেই আপনার আত্মীয় – প্রিয়জনের বিয়ে। আপনার কাছে ইনভাইনটেশন আসবেই। আপনি নিশ্চিত। আর সেটারই সুযোগ নিয়ে জাল ছড়াচ্ছে ফ্রডস্টাররা।
এই খবরটিও পড়ুন
যদিও নিয়মিত প্রচারের ফলে এখন সচেতনতা অনেক বেড়েছে। বেশিরভাগ মানুষ এখন অচেনা নম্বর থেকে আসা মেসেজে ক্লিক করেন না। তাই হয়তো এই নতুন পন্থা। কিন্তু এই তথ্য হাতানোর কাজটা হয় কী করে? বিপিকের চিফ টেকনোলজি অফিসার শোনাভ সেনগুপ্ত বলছেন, জোরা, আইভির মতো স্প্যাম সফটওয়ার খুব দ্রুত এক ডিভাইস থেকে ডেটা চুরি করে ক্লাউডে পাঠাতে পারে। কিন্তু কে আপনার আত্মীয়, কার কবে বিয়ে? সে সব খবর ফ্রডস্টাররা পাচ্ছে কী করে? প্রশ্ন অনেক, উত্তর খোঁজার কাজ চলছে।