কলকাতা : ২০১৯-এর শেষের দিকে চিনের শহরগুলিতে ছড়িয়ে পড়ছিল করোনা ভাইরাস। তখনও ভাবা যায়নি যে বিশ্ব জুড়ে এমন অতিমারির দাপট চলবে। মাত্র কয়েক মাস লেগেছিল সংক্রমণের ঢেউ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোনায় পৌঁছে যেতে। বাদ পড়েনি বাংলাও। ইউকে থেকে কলকাতায় ফেরা এক বাঙালির শরীরে প্রথম সংক্রমণের হদিশ পাওয়া যায়। একজন আক্রান্তকে ঘিরেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। তারপর একে একে বাড়তে থাকে সেই সংখ্যা। গত দু বছরে করোনার গ্রাফ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হতে দেখেছে বাংলা। দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে মৃত্যু মিছিল দেখা গিয়েছে, তা এখনও ভয় ধরায়। অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে রাজ্যে। ২ বছর পর করোনা সংক্রমণের সংখ্যা নামল ১২-তে।
সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে কোভিড বুলেটিন প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ১২ জন। রবিবারও যে সংখ্যাটা ছিল ৩৬, সেই তুলনায় সোমবারের আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। ২০২০-র ১৭ মার্চ প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায় বাংলায়। ওই বছররে ৫ এপ্রিল রোগীর সংখ্যা ছিল মোট ১১। তারপর থেকে সংখ্যাটা ক্রমশ বেড়েছে। ওই বছরের এপ্রিলের পর সোমবারই আক্রান্তের সংখ্যা সর্বনিম্ন। রবিবার কম পরীক্ষা হওয়ার কারণে সংক্রমণ কম হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তবে সার্বিকভাবে যে বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে, তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।
বুলেটিন অনুসারে, একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১২ জন, আর এক দিনে সুস্থ হয়েছে ৪২ জন। এই নিয়ে বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ২০ লক্ষ ২৭ হাজার ৫০৭। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে মোট ২১ হাজার ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার কারও মৃত্যু হয়নি। সোমবারের হিসেব অনুযায়ী, সুস্থতার হার ৯৮.৯২ শতাংশ। গত কয়েকদিন ধরেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র নীচে।
ইতিমধ্যেই, কোভিড বিধি শিথিল করা হয়েছে রাজ্যে সম্প্রতি নবান্নের তরফ থেকে নোটিস জারি করে জানানো হয়েছে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আর সেই কারণেই ২০২০ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী যে যে নিয়ম মানা জরুরি ছিল, তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Calcutta High Court: একই দিনে ৩ বিচারপতি সরে দাঁড়ালেন এসএসসি দুর্নীতির মামলা থেকে, কীভাবে দেখছেন আইনজ্ঞরা?