TMC on New Jobs in Bengal: ‘বাংলায় এক লক্ষের অধিক নতুন সংস্থা…’, ‘চাকরির বাজারের’ খতিয়ান দিলেন শতাব্দী

Parliament Winter Session: কিন্তু আচমকাই এই খতিয়ান প্রদানের প্রয়োজনীয়তা কী ছিল? ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, শীতকালীন অধিবেশন রাজ্য সরকারের দিকে ওঠা প্রশ্নই এই খতিয়ান তুলে ধরার নেপথ্য়ে কাজ করেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় একটি বিল পেশের সময় তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষকে 'বঙ্গ-ত্যাগী সংস্থার' তালিকা তুলে ধরে বিঁধেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

TMC on New Jobs in Bengal: বাংলায় এক লক্ষের অধিক নতুন সংস্থা..., চাকরির বাজারের খতিয়ান দিলেন শতাব্দী
বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

|

Dec 06, 2025 | 8:13 PM

নয়াদিল্লি: ১৪ বছরে বাংলায় নথিভুক্ত হয়েছে এক লক্ষের বেশি নতুন সংস্থা। শনিবার বাংলার চাকরির বাজারের খতিয়ান তুলে ধরলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। এই সময়কালে রাজ্যে নতুন সংস্থা আগমনের পরিমাণ এক ধাক্কায় ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি তাঁর।

এদিন নয়াদিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এবং লোকসভা সাংসদ শতাব্দী রায়। একশ দিনের কাজ নিয়ে সুর চড়ায় তাঁরা। সংসদের অন্দরে এবং বাইরে উভয় জায়গায় বাংলার একশ দিনের প্রাপ্য তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হলেও কেন্দ্র কর্ণপাত করছে না বলেই অভিযোগ তাঁদের। পাশাপাশি, বাংলার চাকরির বাজারের খতিয়ানও তুলে ধরেন দুই সাংসদ। এদিন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, ‘বাংলা মানে যে ব্যবসা, সেই প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। গত ১৪ বছরে অর্থাৎ ২০১১ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলায় এক লক্ষের অধিক নতুন সংস্থা নিজেদের রেজিস্টার করেছে। এই রেজিস্টার্ড কোম্পানির সংস্থাও বাংলায় এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৩ শতাংশ। বাংলায় প্রতি বছর সাত হাজার ৫০০টির মতো নতুন সংস্থা বিনিয়োগ করছে। এমনকি, গত পাঁচ বছরে এই বাংলাতেই ৪০ হাজার নতুন সংস্থা গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রেও বাংলা এগিয়ে রয়েছে। বাংলা মানুষের কথা ভাবছে।’

কিন্তু আচমকাই এই খতিয়ান প্রদানের প্রয়োজনীয়তা কী ছিল? ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, শীতকালীন অধিবেশন রাজ্য সরকারের দিকে ওঠা প্রশ্নই এই খতিয়ান তুলে ধরার নেপথ্য়ে কাজ করেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় একটি বিল পেশের সময় তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষকে ‘বঙ্গ-ত্যাগী সংস্থার’ তালিকা তুলে ধরে বিঁধেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘তৃণমূলই বাংলার বিকাশে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত ১৪ বছরে বাংলা ছেড়েছে মোট ৬ হাজার ৮৯৫টি সংস্থা। যাঁদের মধ্যে ৪৪৮টি লিস্টেড সংস্থা এবং বাকি ৬ হাজার ৪৪৭টি আনলিস্টেড।’

শুধুই নির্মলা নয়, সম্প্রতি কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রককে করা বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের একটি প্রশ্নের উত্তরেও উঠে এসেছিল এই বঙ্গ-ত্যাগী সংস্থার খতিয়ান। সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিমন্ত্রী হর্ষ মলহোত্রা জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের শেষ ছয় মাসে বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছে ২০৭টি সংস্থা। এছাড়াও, গতবছর এই বিদায়ী সংস্থার পরিমাণ ছিল ৩৬৬টি। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংস্থা বিদায় নিয়েছে ২০১৭-১৮ সালে। মোট ১ হাজার ২৭টি।