Partha Chatterjee: ‘তদন্তে প্রভাব খাটাবে…’, দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ পার্থকে ছাড়তে নারাজ আদালত

Partha Chatterjee: প্রসঙ্গত, একই দিনে জোড়া স্বস্তি চাকরিহারাদের। এক দিকে সুপ্রিম-রায়ে ফের কাজে ফেরার নির্দেশ পেলেন তারা। অন্যদিকে, শত চেষ্টার পরেও ফের একবার জামিন মামলা খারিজ হয়ে গেল পার্থর।

Partha Chatterjee: তদন্তে প্রভাব খাটাবে..., দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থকে ছাড়তে নারাজ আদালত
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image | X

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Apr 17, 2025 | 1:53 PM

কলকাতা: অব্যাহত টানাপোড়েন। ফের খারিজ নিয়োগ মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন আর্জি। দিন কতক আগেই দীর্ঘ সময় ধরে জামিন আর্জির শুনানি চলেছিল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে। বৃহস্পতিবার ছিল রায়দান। সেখানেই ফের একবার পার্থর জামিন আর্জি খারিজ করলেন বিচারক।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন যে পর্যায়ে তদন্ত রয়েছে, সেই ভিত্তিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলে তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারেন। কারণ, তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে শারীরিক ভাবে অবনতি হয়েছে পার্থর। কিন্তু তারপরও পাচ্ছেন না জামিন। এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিন মামলা খারিজ করেছিলেন আদালতের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।

এই জামিন আর্জির শুনানি পর্বে পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে প্রাথমিকের OMR শিট নষ্ট করার অভিযোগ তোলে সিবিআই। এমনকি, গোটা নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীই, এমনটাও দাবি করেন তারা। পাশাপাশি, তদন্তকারীরা আদালতকে এও জানিয়েছেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে তাদের। মন্ত্রী থাকাকালীনই মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুর্নীতির সুতো বুনেছিলেন তিনি। এরপর সিবিআইয়ের পেশ করা এই তথ্যগুলির ভিত্তিতেই পার্থর জামিন আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক শুভেন্দু সাহা।

প্রসঙ্গত, একই দিনে জোড়া স্বস্তি চাকরিহারাদের। এক দিকে সুপ্রিম-রায়ে ফের কাজে ফেরার নির্দেশ পেলেন তারা। অন্যদিকে, শত চেষ্টার পরেও ফের একবার জামিন মামলা খারিজ হয়ে গেল পার্থর। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে ২০১৬ প্যানেল বাতিল মামলায় নতুন করে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চিহ্নিত অযোগ্য়রা বাদে বাকিরা অর্থাৎ যারা চিহ্নিত নন, তারা যেন কাজ চালিয়ে যেতে পারেন সেই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম-দ্বারে দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। অবশেষে চাকরিহারাদের সাময়িক স্বস্তি। অযোগ্য চিহ্নিত নয়,তাদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। তবে গ্রুপ সি (C)- গ্রুপ- ডি (Group D) কর্মীদের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়নি।