পার্থ চট্টোপাধ্যায়

পার্থ চট্টোপাধ্যায়

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। সাংঘাতিক সব অভিযোগ ওঠে পার্থর নামে। অর্থনীতির ছাত্র তিনি। এমবিএ করেন। দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন। যথেষ্ট ভাল মাইনের চাকরি ছিল তাঁর। সেসব ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা হিসাবেই রাজ্যবাসীর কাছে পরিচয় তাঁর। ২০০১ সালে বেহালা পশ্চিম থেকে বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০০৬, ২০১১, ২০১৬, ২০২১- প্রতিবারই জয়। এখনও এই কেন্দ্রেরই বিধায়ক তিনি।

২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গড়লেন বাংলায়। সেবারই মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন পার্থ। বাণিজ্য শিল্প ও অন্যান্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব পান তিনি। বিধানসভার ডেপুটি লিডারও হন। ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয়বার সরকার গঠন। উচ্চশিক্ষা দফতরের মন্ত্রিত্ব পান পার্থ। তাঁর বাণিজ্য, শিল্প অমিত মিত্রের হাতে যায়। তৃণমূলের মহাসচিব ছিলেন একসময়। বাম আমলে ছিলেন বিরোধী দলনেতাও। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর মহাসচিব পদ খোয়াতে হয় পার্থকে।

২০২২ সালের ২২ জুলাই পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বিলাসবহুল আবাসন থেকে ২০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়। সেই সূত্রেই রাতভর ইডির জেরার মুখে পড়েন পার্থ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে পার্থর বাড়িতে ম্যারথন তল্লাশি চলে। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। সে সময় আবারও শিল্পমন্ত্রী পার্থ, পরিষদীয় মন্ত্রীও ছিলেন। ২৮ জুলাই দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

Read More

Partha Chatterjee: শ্বশুর পার্থ জেলে, আমেরিকা থেকে ছুটে এলেন জামাই, আর পারবেন ফিরতে!

Partha Chatterjee: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্ত করতে গিয়ে পিংলায় একটি অভিজাত মানের স্কুলের খোঁজ পেয়েছিলেন। ওই স্কুলটি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী'র নামে। পরে জানা যায়, ওই অভিজাত মানের স্কুলটির চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য।

Calcutta High Court: পার্থদের জামিনের শুনানি শেষ, বছর শেষে ‘সুখবর’ পাবেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং অশোক কুমার সাহার জামিনের আবেদনের মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে জামিন চেয়ে অভিযুক্ত পাঁচজন আবেদন করেন।

Partha Chatterjee: মন্ত্রী হতে পারবেন না পার্থ, জেল থেকে কি বেরনো সম্ভব! কোন কোন ফাঁসে আটকাচ্ছে?

Partha Chatterjee: অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন পার্থ। তবে খুব বেশি স্বস্তি নয়। জেল থেকে কি আদৌ বেরতে পারবেন পার্থ?

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন, বছর শেষে সুপ্রিম কোর্টের বেনজির নির্দেশ

Partha Chatterjee: ২০২২ সালে গ্রেফতার হন পার্থ। মাসের পর মাস জামিন আবেদন জানিয়েছে আদালতে ঘুরেছেন তিনি। ইডি-র মামলায় জামিন দেওয়া হচ্ছে পার্থকে।

ED: এক হল ‘রাজা’ আর দুই হল ‘রাজা বানানোর কারিগর’, বালু-পার্থকে এক পংক্তিতে বসাচ্ছে ED

ED: এদিন সওয়াল করতে গিয়ে ইডি-র আইনজীবী ধীরজ দ্বিবেদী বলেন, 'জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হলে কিংপিন। রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। সুযোগ পেলে কী করতে পারেন তা আমরা পিজি হাসপাতালে চিরকুটের ঘটনায় দেখেছি।'

জেলে পার্থ কতক্ষণ? ED-CBI-এর চক্রব্যূহ কেটে পারবেন বেরিয়ে আসতে?

Recruitment Scam: যে পাঁচ জন এখনও জামিন পাননি, তাঁদের প্রত্যেকেরই একটা ভারী পদ ছিল। তাঁরা ক্ষমতার সিঁড়ির অনেকটা ওপরের ধাপে ছিলেন। পার্থকে গ্রেফতার করার পর যেমন এই ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা সহজ হয়েছিল ইডি বা সিবিআই-এর পক্ষে, আবার পার্থকে ঘিরতে কুন্তল-শান্তনুরাই ছিল হাতিয়ার।

Partha Chatterjee: ‘আমাকে জামিন দিন, আমাকে বাঁচান’, কাজে এল না পার্থর কাতর আর্জি, বড় নির্দেশ দিয়ে দিল আদালত

Partha Chatterjee: পার্থর জামিন মামলার জল গড়িয়েছলি দেশের শীর্ষ আদালতেও। কিন্তু, সেখানেও কার্যত ‘তিরস্কারের’ মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। পার্থর মতো ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ব্যক্তিকে জামিন দিলে সমাজে কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় খোদ বিচারপতিকে।

Partha Chatterjee: ‘আমি কিছুই করিনি’, ভরা এজলাসে কাতর অনুনয় পার্থর, বারবার ভর্ৎসনা আদালতের

সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, ১৫২ জন যোগ‍্য চাকরি প্রার্থীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি, অথচ বিভিন্ন এজেন্ট মারফৎ টাকা তুলে ৭৫২ জন অযোগ‍্য চাকরি প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩১০ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছে সিবিআই।

Partha Chatterjee: বাংলা ছাড়ার ‘আশ্বাস’ দিলেও আজও জামিন মিলল না পার্থর

Partha Chatterjee: বিচারপতি সূর্যকান্তের দাবি, পার্থর জামিন প্রসঙ্গে অবশ্যই সামাজিক প্রভাবের কথা মাথায় রাখতে হবে। স্পষ্ট বলেন, আমাদের দেখতে হবে উনি মুক্তি পেলে তদন্তের উপর প্রত্যক্ষভাবে কীভাবে প্রভাব পড়তে পারে। আমরা আপাতত একটা ব্রেক (জামিন আটকানো প্রসঙ্গে) দিতে পারি।

Partha Chatterjee in Supreme Court: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ পার্থকে জামিন দিলে সমাজে কী বার্তা যাবে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

Partha Chatterjee in Supreme Court: নিজের পর্যবেক্ষণের কথা জানান বিচারপতি। সাফ বলেন, একাধিক সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রী হয়েও পার্থ চট্টোপাধ্যায় যুক্ত ছিলেন। এটা ‘অফিস অফ প্রফিটের’ মধ্যে পড়ে। তিনি নিজে ডিরেক্টর নিয়োগ করেছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা এবং বেসরকারি সংস্থার নামে একযোগে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। তিনি ‘ডামি পার্সন’ রেখেছেন।