Partha Chatterjee: আজই পাঠানো হতে পারে নামী বেসরকারি হাসপাতালে, নিরাপদ SSKM-এ হঠাৎ ‘অ্যালার্জি’ কেন পার্থর?
Partha Chatterjee: আইসিইউ থেকে তাঁকে কেবিনে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ছিল। এরই মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে পার্থ যেতে চান এ কথা জানার পর এসএসকেএম কর্তৃপক্ষও পার্থকে আর ধরে রাখতে চান না।
কলকাতা: কালীঘাটের কাকুর পথের পথিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। সুজয়কৃষ্ণের ভদ্রের মতো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইচ্ছেপূরণেও সম্মত এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এসএসকেএম থেকে বেসরকারি হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্থানান্তর এখন সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, স্থানান্তরে যে আপত্তি নেই তা আদালতকে জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবারই মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কোনওভাবেই সিবিআই হাজিরা এড়াতে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারবেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। বাইশ সালে যখন পার্থকে নিয়ে জোরদার টানাপোড়েন চলছে, তখন এই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের তাৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এখন সেই এসএসএকেএমেই থাকতে চাইছেন না পার্থ। তা নিয়েই চলছে চাপানউতোর।
এসএসকেএম সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক জটিলতা এখন স্থিতিশীল। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক, পায়ের ফোলা ভাব কমে গিয়েছে, হার্টবিট অনিয়মিত সংক্রান্ত সমস্যা এখন নিয়ন্ত্রণ। একসময় শুলেই শ্বাসকষ্ট হতো পার্থর। এখন সেই সমস্যাও কমেছে।
সূত্রের খবর, আইসিইউ থেকে তাঁকে কেবিনে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ছিল। এরই মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে পার্থ যেতে চান এ কথা জানার পর এসএসকেএম কর্তৃপক্ষও পার্থকে আর ধরে রাখতে চান না। সোজা কথায় পার্থ থাকতে চান না, এসএসকেএমও রাখতে চায় না! এমন ভোলবদলের কারণ কী?
এসএসকেএম সূত্রের খবর, পার্থর শারীরিক অসুস্থতা অনুযায়ী তাঁকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, চিকিৎসার সেই সময়কালে একটু আরাম চাইছেন পার্থ। আইসিইউয়ে তাঁর জন্য আলাদা অ্যাটেনডেন্ট দেয়নি এসএসকেএম। পার্থ নিজের উদ্যোগে কাউকে রাখবেন সেই অনুমতিও দিতে নারাজ এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, পার্থ সি-প্যাপ নিতে নারাজ। HRCT’ও করাতে চাননি। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের কথা না শুনলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
অন্যদিকে নতুন বছরে বিগত বছরের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছেন না এসএসকেএম কর্তৃপক্ষও। কালীঘাটের কাকু, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিনের পর দিন এসএসকেএম বাসে আদালতে তো বটেই জনমানসে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এসএসকেএমের। সব মিলিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হোক বা কাকু, রোগী হস্তান্তরের সুযোগ পেলে ভাল বইতে নারাজ এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এটাই তাঁদের NEW YEAR RESOLUTIONS! এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম থেকে বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে সিবিআই আদালতের। বেসরকারি হাসপাতালে নিজের খরচ পার্থকেই দিতে হবে, নির্দেশ আদালতের। এসএসকেএম হাসপাতালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হবে নিজের রিস্কে। বলছে আদালত। এদিনই এসএসকেএম থেকে পার্থর মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা পড়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।