মিউচুয়াল ফান্ড

মিউচুয়াল ফান্ড

শেয়ার মার্কেটের পাশাপাশি কম ঝুঁকি কিন্তু বেশি লাভের আশায় বর্তমানে দেশের একটা বড় অংশের মানুষের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ঝোঁক বাড়ছে। ঝোঁক বাড়ছে এসআইপি (SIP) বা Systematic Investment Plan এর উপরেও। মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের বিনিয়োগ তহবিল যা অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এবং স্টক, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করে। এককালীন বা মাসিক কিস্তির ভিত্তিতেও করা যেতে পারে বিনিয়োগ। মাত্র ১০০ টাকা থেকে আজকাল শুরু করা যায় বিনিয়োগ। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যান। মিউচুয়াল ফান্ড সবসময়ই কোনও পেশাদার ফান্ড ম্যানেজারদের দ্বারা পরিচালিত হয়। তবে এখানে বিনিয়োগ করার জন্য শেয়ার বাজার সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। শেয়ার বাজারের ওঠানামার সঙ্গে সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডের নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) ওঠানামা করতে পারে। অ্যাসেট ক্লাসের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের ফান্ড বাজারে রয়েছে। যেমন ইক্যুইটি ফান্ড। এখানে ফান্ড ম্যানেজার মূলত শেয়ারে বিনিয়োগ করে। উচ্চ ঝুঁকি ও উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে ডেট ফান্ড মূলত ডিবেঞ্চার, বন্ড, সরকারি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করে। কম ঝুঁকির পাশাপাশি কম রিটার্নের সম্ভাবনা থাকে। হাইব্রিড ফান্ড আবার ইক্যুইটি ও ডেট উভয়তেই বিনিয়োগ করে। ঝুঁকি-রিটার্ন ইক্যুইটি ও ডেটের অনুপাতের উপর নির্ভর করে।

Read More

Systematic investment plan: লক্ষ্মীর ভান্ডার ছেড়ে SIP-তে মন ভারতবাসীর, রিপোর্ট দেখলে চমকে উঠবেন

Systematic investment plan: ইনভেসমেন্ট ইনফরমেশন অ্যান্ড ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি(আইসিআরএ) অ্যানালিটিক্স-র একটি রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ হয়েছে ৯.১৪ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে এই সময়ে যা ছিল ২.৭৪ লক্ষ কোটি।

Exchange Traded Fund: ETF অনেক ধরণের হয়, কিন্তু আপনি কোনটায় বিনিয়োগ করবেন?

ETF: বিনিয়োগের উপায় হিসাবে ইটিএফ বা এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইটিএফ প্রধানত ৩ ধরণের হয়। ইক্যুইটি ইটিএফ, ফিক্সড ইনকাম ইটিএফ এবং কমোডিটি ইটিএফ।

Exchange Traded Fund: ETF-এর ৪টি সুবিধা বিনিয়োগের আগে জেনে নিন!

ETF: ইটিএফ স্টক এক্সচেঞ্জে বিকিকিনি করা হয়। ফলে ইটিএফ কেনা হলে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে ইটিএফের ইউনিট ক্রেডিট হয়ে যায়। আর যেহেতু ইটিএফ স্টক এক্সচেঞ্জে কেনাবেচা করা যায়, ফলে একদিনের মধ্যেই ইটিএফ কেনা ও বিক্রি করে দেওয়া যায়।

Exchange Traded Fund: থিম্যাটিক ETF কীভাবে কাজ করে, কাদের বিনিয়োগ করা উচিৎ?

ETF: বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির সম্পর্কে যুক্ত কোম্পানিগুলোকে নিয়ে ইভির থিম্যাটিক ইটিএফ তৈরি হয়। এই ধরণের ইটিএফে বিনিয়োগ দীর্ঘ সময় রাখলে তা বেঞ্চমার্কের মতো রিটার্ন দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু থিম্যাটিক ইটিএফগুলোতেও ঝুঁকি থাকে।

Exchange Traded Fund: লিক্যুইডিটি কী, ETF-এ লিক্যুইডিটি বেশি নাকি কম?

ETF: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লিক্যুইডিটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফলে বিনিয়োগ করার আগে দেখে নিতে হবে যেখানে বিনিয়োগ করা হচ্ছে সেখান থেকে প্রয়োজনে টাকা তুলে নেওয়া যাবে কি না। আর এটাকেই সহজে বলে লিক্যুইডিটি।

Exchange Traded Fund: স্মার্ট বিটা ETF-এর Low Volatility স্ট্র্যাটেজি বিনিয়োগকারীদের জন্য কতটা উপযোগী?

ETF: স্মার্ট বিটার অন্তর্গত লো ভোল্যাটিলিটি ইটিএফ আসলে অ্যাক্টিভ ও প্যাসিভ বিনিয়োগের মধ্যবর্তী একটি বিনিয়োগের উপায়। এই ইটিএফ আসলে কোনও সূচকে থাকা শেয়ারের মধ্যে যে সব শেয়ারের দামে কম অস্থিরতা, সেগুলোয় বিনিয়োগ করে।

Exchange Traded Fund: সাধারণ ETF-এর তুলনায় Smart Beta ETF আসলে কতটা স্মার্ট?

ETF: কোনও ইটিএফের ক্ষেত্রে সেই ফান্ডটি কোনও বেঞ্চমার্ক সূচককে ট্র্যাক করে। কিন্তু স্মার্ট বিটা ইটিএফের ক্ষেত্রে ফান্ড ম্যানেজার বিশেষ কিছু নীতি বা স্ট্র্যাটেজির উপর নির্ভর করে সূচকের মধ্যে থাকা কিছু স্টককে নির্বাচন করে।

Exchange Traded Fund: ETF-এ বিনিয়োগে খরচ কম, কিন্তু রিটার্ন কেমন?

ETF: কোনও অ্যাক্টিভ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হলে সেখানে অনেক খরচ জড়িয়ে থাকে। ইটিএফ যেহেতু একটি প্যাসিভ বিনিয়োগ তাই এর ফান্ড পরিচালনার জন্য বার্ষিক ফি অ্যাক্টিভ কোনও ফান্ডের তুলনায় কম।

Exchange Traded Fund: ETF-এ বিনিয়োগ করবেন ভাবছেন? করার সঠিক সময় কোনটা জানেন!

ETF: এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা ইটিএফে কেউ যদি বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে তাহলে বুঝতে হবে ইটিএফ কেনা বা বিক্রি করার কোনও নির্দিষ্ট সময় হয় না। কেউ যত বেশি সময় ধরে বিনিয়োগ করবেন, তাঁর সেই বিনিয়োগে ঝুঁকি ততই কম হবে।

Effects of Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে অস্থিরতা, ফুলে ফেঁপে উঠতে পারে ভারতের অর্থনীতি!

Indian Market: বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতি। আর এর মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে ভারতের বয়ন শিল্প। বাংলাদেশের বদলে বস্ত্রবয়নে ভারতের উপর নির্ভর করতে চাইছে বিদেশি কোম্পানিগুলো। আর এমন যদি হয় তবে ভারতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়তে পারে বিদেশি বিনিয়োগ।