AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bengali New Year: নববর্ষেই ‘১৪৩২’ ডুব দিয়ে ‘রেকর্ড’ বাংলার সাঁতারুর, হল ‘ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’?

Bengali New Year: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা পেশায় ছোট গাড়ির চালক সদানন্দ দত্ত ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন সাঁতারু হওয়ার। বাবার হাত ধরে সাঁতারে হাতেখড়ি। আর্থিক প্রতিবন্ধকতায় প্রথাগত ভাবে সাঁতার শেখা না হলেও জলকে ভালোবেসে ধীরে ধীরে সাঁতারে দক্ষতা অর্জন করেন তিনি।

Bengali New Year: নববর্ষেই ‘১৪৩২’ ডুব দিয়ে ‘রেকর্ড’ বাংলার সাঁতারুর, হল ‘ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’?
নববর্ষেই ১৪৩২ ডুব Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2025 | 7:22 PM

বিষ্ণুপুর: ১৮ বছরের ধারাবাহিকতায় বিষ্ণুপুরের ইতিহাস প্রসিদ্ধ যমুনা বাঁধে ১৪৩২ টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন বিষ্ণুপুরের সাঁতারু সদানন্দ দত্ত। এদিন সকাল থেকে সদানন্দর এমন অভিনব বর্ষবরণ দেখতে বিষ্ণুপুরের অসংখ্য মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন যমুনা বাঁধের পাড়ে। ১৪৩২ টি ডুব দিয়ে পাড়ে উঠে বিষ্ণুপুরের ওই সাঁতারু। দাবি করলেন যমুনা বাঁধ সংস্কারের। 

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা পেশায় ছোট গাড়ির চালক সদানন্দ দত্ত ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন সাঁতারু হওয়ার। বাবার হাত ধরে সাঁতারে হাতেখড়ি। আর্থিক প্রতিবন্ধকতায় প্রথাগত ভাবে সাঁতার শেখা না হলেও জলকে ভালোবেসে ধীরে ধীরে সাঁতারে দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে পেশাগত সাঁতারু আর হয়ে ওঠা হয়নি সদানন্দর। তবে জলের প্রতি ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই একদিন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়ার লড়াই শুরু করেন। গত ১৮ বছর ধরে চলছে তাঁর লড়াই। 

ইংরাজি হোক বা বাংলা প্রতিবছর  নববর্ষ এলেই সদানন্দ নেমে পড়েন জলে। ইংরাজি নববর্ষে মল্ল রাজাদের স্মৃতি বিজড়িত লালবাঁধে, আর বাংলা নববর্ষে মল্ল রাজাদের অর্থানুকূল্যে খনন করা যমুনা বাঁধে হাজির হন সদানন্দ। তারপর বছরের সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে ডুব দিতে থাকেন। গত ১৮ বছর ধরে এমনটাই করে আসছেন বিষ্ণুপুরের ওই যুবক। এ বছরও সেই ধারাবাহিকতায় বদল হয়নি। এদিন নববর্ষের দিন সাতসকালেই যমুনা বাঁধে হাজির হয়ে ১৪৩২ টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন সদানন্দ দত্ত। ডুব দিয়ে পাড়ে উঠেই দাবি করলেন, যমুনা বাঁধ সংস্কারের। সদানন্দর দাবি এভাবেই ডুব দিতে দিতেই ঠিক তাঁর নাম স্থান পাবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। অন্যদিকে সদানন্দ তাঁর এই কাজের স্বীকৃতি পাক চায় বিষ্ণুপুরের মানুষও।