কলকাতা: “শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা নয়, ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নিতে হবে। এরা মুখে বলবেন সরকারি কাঠামোয় আছেন, চটি চাটা বলে নেচে বেড়াবেন, অন্য জায়গায় প্রাকটিস করবেন, আর জুনিয়রদের দিয়ে ওটি করাতে গিয়ে লোক মারবেন, তারপর নাটক করবেন সরকারের বিরুদ্ধে!” এদিন এ ভাষাতেই প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বারবার খোঁচা দিলেন আরজি করের আন্দোলন নিয়ে। কুণালের স্পষ্ট দাবি, সিনিয়র ডাক্তারদের গাফিলতির কারণেই শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারাতে হয়েছে ওই প্রসূতিকে। তাই শুধু বিভাগীয় তদন্ত নয়, আইনি রাস্তায় হেঁটে ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। গ্রেফতারির দাবিও তুলেছেন।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে কুণাল বলেন, “বিরোধীর এবার জুনিয়র ডাক্তার, বিপ্লবী ডাক্তারদের নিয়ে প্রশ্নটা তুলুন। যাঁরা ছিলেন না তাঁরা নাকি মাঝেমধ্যেই থাকেন না। জুনিয়রদের দিয়ে সেনসেটিভ কেস ডিল করান। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জনে জনে ধরে চেক করবে নাকি? যাঁদের জন্য এই অবস্থা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।”
প্রশ্ন তোলেন সরকারি ডাক্তারদের নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস নিয়েও। আসলেই যে ডাক্তারদের উপর অপারেশনের ভার ছিল তাঁদের নাম সামনে না আনলেও কুণালের দাবি, “যে তিনজন সিনিয়র ছিলেন না তাঁদের মধ্যে একজন ওই এলাকার কোন কোন নার্সিংহোমে প্রাইভেট প্র্যাকটিস ও ওটি করেন তার তালিকাও এসে গিয়েছে। এরাই সব রাত জেগে দাবি এক দফা এক করেছে। নিজেদের কাজ করার নাম নেই সরকারের ভুল ধরতে যাচ্ছে। খুব তখন রাত জাগা, এখন মায়েদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন। দাবি এক দফা একের কয়েকজন ওখানে জুটেছে।” কুণালের দাবি, নিজেদের ভুল ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্যালাইন-সহ নানা কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। মাঠে নামছেন ‘দ্রোহের’ চিকিৎসকেরা। আসলে মূল ঘটনা থেকে মোড় ঘোরাতেই এসব করা হচ্ছে।