SSKM: কাজে বেরিয়ে দুর্ঘটনায় হাঁটুর নীচ থেকে থেঁতলে গিয়েছে পা! SSKM-এর দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখার অভিযোগ ‘ফুড ডেলিভারি বয়’কে!

SSKM: শ্যামনগরের বাসিন্দা  বছর আটত্রিশের অবিনাশ মাঝি। তিনি একটি ফুড ডেলিভারি সংস্থায় কর্মরত। মঙ্গলবার রাত ১০.৩০ নাগাদ বাইকে খাবার ডেলিভারি করতে যাওয়ার সময় লরির সঙ্গে ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি।

SSKM: কাজে বেরিয়ে দুর্ঘটনায় হাঁটুর নীচ থেকে থেঁতলে গিয়েছে পা! SSKM-এর দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখার অভিযোগ 'ফুড ডেলিভারি বয়'কে!
রোগীর পরিবারের সদস্যরাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2025 | 11:59 AM

কলকাতা: ফের রোগী হয়রানির ছবি এসএসকেএম হাসপাতালে। দীর্ঘক্ষণ রোগীকে ট্রলিতে ফেলে রাখার অভিযোগ। পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ফুড ডেলিভারি সংস্থায় কর্মরত এক যুবক। রাতে লরির ধাক্কায় গুরুতর আহন হন তিনি। রাতে তাঁকে দুটি হাসপাতাল ঘুরে আরজি করে নিয়ে যাওয়া হয়। পা কেঁটে বাদ দেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। খরচ সামাল দিয়ে শেষে যুবককে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, প্রাথমিক চিকিৎসার পর দীর্ঘক্ষণ তাঁকে ট্রলিতেই ফেলে রাখা হয়।

শ্যামনগরের বাসিন্দা  বছর আটত্রিশের অবিনাশ মাঝি। তিনি একটি ফুড ডেলিভারি সংস্থায় কর্মরত। মঙ্গলবার রাত ১০.৩০ নাগাদ বাইকে খাবার ডেলিভারি করতে যাওয়ার সময় লরির সঙ্গে ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি।

প্রথমে  বারাকপুরের বিএন বোস হাসপতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের দাবি, অন্যত্র স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়। এরপর দুটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে রাতে পৌঁছয় আর জি কর হাসপতালে। চিকিৎসকরা বাঁ পা কেটে বাদ দিতে হবে বলে জানায়। একথা শোনার পর পরিবারের তরফে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত অবিনাশকে। সেখানে চিকিৎসার খরচ অনেকটাই ব্যয়বহুল হবে বলেই জাননো হয়। চিকিৎসার খরচ সাধ্যের বাইরে হওয়ায় পরিবার অবিনাশকে নিয়ে ভোর চারটে নাগাদ পৌঁছয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

অভিযোগ, প্রাথমিক চিকিৎসার পর কয়েক ঘণ্টা ট্রলিতেই রোগীকে ফেলে রাখা হয়। পরিবারের অভিযোগ, ৫ টা নাগাদ জানানো হয় বেড নেই , ভর্তি করা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে সকাল ৯.৩০-র পর চিকিৎসকরা ভর্তির কথা জানান। আরও জানানো হয়, দুর্ঘটনায় আহত অবিনশের অস্ত্রপ্রোচার করতে হবে, বাঁ পা হাঁটুর নীচ থেকে কেটে বাদ দিতে হবে।

এসএসএসকেএম হাসপতালের বিরুদ্ধে পরিবারের অভিযোগ, ভোরে নিয়ে আসার পর দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা হয় রোগীকে। অনবরত রক্তক্ষরণ হয়ছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে পা বাঁচানো যেত বলেই মনে করছেন আহত অবিনাশের মা। তিনি বলেন, “আমার ছেলেটাকে সঠিক সময়ে চিকিৎসকরা দেখলে পা বাঁচানো যেত। এখন আমার ছেলেটার লাইফটাই শেষ হয়ে গেল।” এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।