Thakurpukur: ‘কোনও মতেই গাড়ির ব্রেক ফেল হয়নি’, ঠাকুরপুকুরকাণ্ডে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হতেই ফুঁসে উঠল মৃতের পরিবার

Thakurpukur: মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, "কোনও মতেই গাড়ির ব্রেক ফেল হয়নি। গাড়িটি বারবার দাঁড়াচ্ছে। তারপর ফুল পিক আপ তুলে নিয়ে বেরোচ্ছে। আবার ব্রেক করছে। তাহলে কীভাবে ব্রেক ফেল হয়? সিসিটিভি ক্যামেরায় সবটাই ধরা পড়েছে। এত জনকে কীভাবে ধাক্কা মারে। এটা ইচ্ছাকৃত খুন।"

Thakurpukur:  কোনও মতেই গাড়ির ব্রেক ফেল হয়নি, ঠাকুরপুকুরকাণ্ডে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হতেই ফুঁসে উঠল মৃতের পরিবার
ঠাকুরপুকুর কাণ্ডে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 08, 2025 | 12:34 PM

কলকাতা: মত্ত পরিচালকের হাতে স্টেয়ারিং। বেপরোয়া গতির বলি পথচারী। ঠাকুরপুকুরে ভরা বাজারে একের পর এক গাড়িকে ধাক্কা। পিষে দেওয়া হয় এক পথচারীকে। ঠাকুরপুকুর কাণ্ডে উঠেছে সর্বমহলে নিন্দার ঝড়। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে পুলিশ হেফাজতে পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস। অভিযুক্ত সিরিয়াল পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবেই গাড়ি জোরে চালিয়ে পিষে দেওয়া হয়েছে।

মৃতের পরিবারের দাবি, গাড়ি দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ পরে স্পিড বাড়িয়ে ধাক্কা মারা হয়। মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “কোনও মতেই গাড়ির ব্রেক ফেল হয়নি। গাড়িটি বারবার দাঁড়াচ্ছে। তারপর ফুল পিক আপ তুলে নিয়ে বেরোচ্ছে। আবার ব্রেক করছে। তাহলে কীভাবে ব্রেক ফেল হয়? সিসিটিভি ক্যামেরায় সবটাই ধরা পড়েছে। এত জনকে কীভাবে ধাক্কা মারে। এটা ইচ্ছাকৃত খুন।”

পুলিশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্যও পরিবারকে বলা হয়েছে পুলিশের তরফে। পরিবারের সদস্যের কথায়, “আমার কাকা মারা গিয়েছে। আমার কাকার ছেলেকে ফোন করে হাসপাতাল থেকে ডেকে থানায় নিয়ে যায় ওরা। যাঁরা দুর্ঘটনা করেছেন, তাঁদের পরিবারের লোক ওখানে ছিল। বলা হয়, তোমরা একটু সেটেলমেন্ট করে নাও। ওদের আইনজীবীরাও ছিল।”

জানা গিয়েছে,  গাড়ির মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল সাতটা মদের বোতল, গাঁজার কলকে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, এফআইআর কপিতে সেগুলো কোনও কিছুই উল্লেখ ছিল না।