কলকাতা: সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁচার এবার পাল্টা দিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অস্তমিত সূর্য। তাঁর কেরিয়ার একেবারেই শেষের পথে। কল্যাণ-তৃণাঙ্কুরের সৌজন্যে আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্তর্কলহ।
TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “ওঁ এত বছর ধরে রাজনীতি করছেন। বলতে গেলে রাজনীতির একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছেন। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাতে রয়েছি। এত তফাতে পাল্টা কিছু বলা সমীচিন লাগে না।” তিনি আরও বলেন, “সবাই আমার পারফরমেন্সে নজর দিয়েছেন। কখনও ভাল পেরেছি, কখনও ভাল পারিনি। কিন্তু চেষ্টার কখনও কসুর করিনি, নিজের দিক থেকে।” তিনি আরও বলেন, “আমার নেতৃত্ব আমাকে শিখিয়েছেন, রাজনীতিটা বারবার মিডিয়ার সামনে রেখে করলে, ব্যক্তিগত ফ্রেম বাড়ে। দলের কাজে আসে না। দলকে বিপদে ফেলে। আমার ওঁকে বলাটা মানায় না। দল দেখবে আমি কী করেছি না করিনি।”
সম্প্রতি ডোমজুড় উৎসব মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মেডিক্যালে সাসপেন্ডেড ছাত্রদের পাশে না দাঁড়ানোয় তৃণাঙ্কুরকে এক হাত নেন কল্যাণ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির পদ থেকে তৃণাঙ্কুরকে সরানোরও দাবি তোলেন তিনি। কল্যাণের অভিযোগ, তৃণমূল করায় বাম-অতি বামের থ্রেট কালচারের মুখে ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে তৃণাঙ্কুর তাঁদের পাশে দাঁড়াননি।
২৪ ঘণ্টা নীরব ছিলেন তৃণাঙ্কুর। তারপর বলেন, “দল নিশ্চিতভাবে হিসাব রাখছে। বিচার করবে।” এদিন আরও একবার সেকথাই বলেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কল্যাণ-তৃণাঙ্কুরের কলহ আদতে আদি বনাম নব্যের লড়াই। কল্যাণ তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের একেবারে শেষ প্রান্ত রয়েছেন বলে মন্তব্য করলেন তৃণাঙ্কুর।