TV9 Bangaliana: সর্বভারতীয় রাজনীতির মঞ্চে বাঙালি মুখ নেই কেন? কোথাও কি প্রাসঙ্গিকতা কমছে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 13, 2022 | 9:10 PM

TV9 Bangaliana: প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয় রাজনীতিতে স্বীকৃতি কি নির্ভর করে কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার রয়েছে কি না তার উপর।

Follow Us

জাতীয় রাজনীতিকে একটা সময় বাঙালির পোক্ত আসন ছিল। সর্বভারতীয় দলের জাতীয় স্তরের কোনও পদে অনায়াসে বসানো হোত বাঙালিকে। ঊনিশ শতকের শেষ থেকে ভারতীয় রাজনীতির স্রোতে বাংলার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। কিন্তু এখন? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র সেই বাঙালি মুখ, যিনি দেশের রাজনীতির দরবারে সকলের চেনা। কেন দ্বিতীয় কোনও মুখ উঠে আসছে না? রাজনৈতিক দক্ষতার অভাব নাকি এর পিছনেও কলকাঠি নাড়ছে রাজনীতিই। সাংসদ সৌগত রায়ের মতে, অনেকদিন ধরেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালি নেই। জাতীয় কংগ্রেসে নেতাজী সুভাষচন্দ্রের পরে আর কোনও বাঙালি কংগ্রেস সভাপতি হননি। যে বাঙালি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে ছিল, সে বাঙালি ধাক্কা খেয়েছে। সৌগত রায়ের মত, “আমাদের বাংলার একটা বড় অংশ পাকিস্তানে চলে গেল। সংখ্যায় কমে গেলাম। যদি বাংলা এক থাকত তবে ভারতের সবথেকে জনবহুল রাজ্যই হোত বাংলা।”

একইসঙ্গে সৌগতবাবু জানান, কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী বাংলার সব চেয়ে শক্তিশালী দল ছিল, তাদেরও সর্বভারতীয় স্তরে কখনও কোনও বাঙালি সম্পাদক হননি। ফলে বাঙালিরা রাজনীতিতে সাইড লাইনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনটে ভোট জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। জ্যোতি বসু আরও বেশি জিতেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালির ইতিহাস বঞ্চনার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী শোভনলাল দত্তগুপ্ত অবশ্য, দেশের রাজনীতিতে বাঙালির প্রাসঙ্গিকতা হারানোর বিষয় মানতে নারাজ। প্রাসঙ্গিকতা হারানোটা কোন মানদণ্ডে মাপা হচ্ছে, সেটাও দেখা দরকার।

প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয় রাজনীতিতে স্বীকৃতি কি নির্ভর করে কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার রয়েছে কি না তার উপর। ইউটিউবার পৌলমী নাগ বলছেন, বাঙালি তো সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বরং অনেক বেশি চর্চিত আজকাল। বাইরে থেকে রাজনীতিকরা আসছেন, বাংলায় মাটি তৈরি করতে। বাংলার আঞ্চলিক দলও সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের তুলে ধরছে। অর্থাৎ বাংলা ও বাঙালিকে নিয়ে চর্চা এখন অনেক বেশি হচ্ছে।

পৌলমী মনে করেন, “আগামিদিনে বিজেপি যদি বাংলায়ও শক্তি বাড়াতে পারে তাহলে পুরস্কারস্বরূপ হয়ত বাংলা থেকে আরও বেশ কিছু মুখ দিল্লির দরবারে ফুটে উঠবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে যাবেন। আর যদি কোনও জোট সরকারের জায়গা তৈরি হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, সেক্ষেত্রেও বাঙালির কিন্তু উঠে আসার একটা জায়গা রয়েছে।” বাঙালির রক্তে রয়েছে লড়াই করার ক্ষমতা। তবে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় বিভাজনের তাসে বাঙালিকে বশে আনা সহজ নয় বলছেন বিশিষ্টজনেরা।

জাতীয় রাজনীতিকে একটা সময় বাঙালির পোক্ত আসন ছিল। সর্বভারতীয় দলের জাতীয় স্তরের কোনও পদে অনায়াসে বসানো হোত বাঙালিকে। ঊনিশ শতকের শেষ থেকে ভারতীয় রাজনীতির স্রোতে বাংলার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। কিন্তু এখন? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র সেই বাঙালি মুখ, যিনি দেশের রাজনীতির দরবারে সকলের চেনা। কেন দ্বিতীয় কোনও মুখ উঠে আসছে না? রাজনৈতিক দক্ষতার অভাব নাকি এর পিছনেও কলকাঠি নাড়ছে রাজনীতিই। সাংসদ সৌগত রায়ের মতে, অনেকদিন ধরেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালি নেই। জাতীয় কংগ্রেসে নেতাজী সুভাষচন্দ্রের পরে আর কোনও বাঙালি কংগ্রেস সভাপতি হননি। যে বাঙালি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে ছিল, সে বাঙালি ধাক্কা খেয়েছে। সৌগত রায়ের মত, “আমাদের বাংলার একটা বড় অংশ পাকিস্তানে চলে গেল। সংখ্যায় কমে গেলাম। যদি বাংলা এক থাকত তবে ভারতের সবথেকে জনবহুল রাজ্যই হোত বাংলা।”

একইসঙ্গে সৌগতবাবু জানান, কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী বাংলার সব চেয়ে শক্তিশালী দল ছিল, তাদেরও সর্বভারতীয় স্তরে কখনও কোনও বাঙালি সম্পাদক হননি। ফলে বাঙালিরা রাজনীতিতে সাইড লাইনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনটে ভোট জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। জ্যোতি বসু আরও বেশি জিতেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালির ইতিহাস বঞ্চনার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী শোভনলাল দত্তগুপ্ত অবশ্য, দেশের রাজনীতিতে বাঙালির প্রাসঙ্গিকতা হারানোর বিষয় মানতে নারাজ। প্রাসঙ্গিকতা হারানোটা কোন মানদণ্ডে মাপা হচ্ছে, সেটাও দেখা দরকার।

প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয় রাজনীতিতে স্বীকৃতি কি নির্ভর করে কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার রয়েছে কি না তার উপর। ইউটিউবার পৌলমী নাগ বলছেন, বাঙালি তো সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বরং অনেক বেশি চর্চিত আজকাল। বাইরে থেকে রাজনীতিকরা আসছেন, বাংলায় মাটি তৈরি করতে। বাংলার আঞ্চলিক দলও সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের তুলে ধরছে। অর্থাৎ বাংলা ও বাঙালিকে নিয়ে চর্চা এখন অনেক বেশি হচ্ছে।

পৌলমী মনে করেন, “আগামিদিনে বিজেপি যদি বাংলায়ও শক্তি বাড়াতে পারে তাহলে পুরস্কারস্বরূপ হয়ত বাংলা থেকে আরও বেশ কিছু মুখ দিল্লির দরবারে ফুটে উঠবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে যাবেন। আর যদি কোনও জোট সরকারের জায়গা তৈরি হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, সেক্ষেত্রেও বাঙালির কিন্তু উঠে আসার একটা জায়গা রয়েছে।” বাঙালির রক্তে রয়েছে লড়াই করার ক্ষমতা। তবে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় বিভাজনের তাসে বাঙালিকে বশে আনা সহজ নয় বলছেন বিশিষ্টজনেরা।

Next Video