কলকাতা: বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে কীভাবে আমূল পরিবর্তন এসেছে বাংলায়, সেই খতিয়ান এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একশো দিনের কাজ, রাস্তা সংস্কার থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের সময় মতো এক তারিখে বেতন কিংবা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের মতো পরিষেবার কথা তুলে ধরেন তিনি। সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘আমি অকথা-কুকথা বা মিথ্যা কথা বলি না। অপ্রিয় সত্য বরং কিছু কিছু বলার চেষ্টা করি।’ সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানালেন, তাঁর কোনও ‘ভুলের’ যদি কেউ সমালোচনা করেন, তাতে তিনি খুশি হবেন।
এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকের শেষের দিকে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বললেন, ‘আমাকে জিজ্ঞেস করবেন, ক্রস চেক করবেন, আমার কোনও আপত্তি নেই। বরং আমি তাতে আনন্দিত হব। এমনকী আমি যদি ভুল করি, আপনারা সমালোচনা করবেন। আমি খুশি হব।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বললেন, যদি রাজ্যবাসীর কেউ কোনও ক্ষেত্রে বঞ্চিত হন, তাহলে সেই বিষয়টি যেন তাঁর নজরে আনা হয়। সাধ্যমতো সুরাহা করার চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘যদি কেউ কোনও জায়গা থেকে বঞ্চিত হন, আমাকে বলবেন, আমি করে দেব। আমার বাড়িতে একটা চিঠি দিলেই তো হয়। সবাইকে হয়ত করতে পারি না, যতটা পারি করি। প্রায় ১০ কোটি মানুষ কোনও না কোনও পরিষেবা পান। তাছাড়াও সরকারি কর্মচারী, স্কুল শিক্ষকরা আছেন।’
রাজ্যবাসীর সমস্যা ও অভাব অভিযোগের কথা জানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ চালু করেছেন। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে সেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির কথাও উঠে আসে মমতার মুখে। আশ্বস্ত করে জানালেন, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে যে আবেদনগুলি এসেছে, বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও বিধবা ভাতায়, সেগুলি আমি দেখছি। যতটা সম্ভব, আমার টাকায় কুলোবে, আমি ততটা নিশ্চয়ই দিয়ে দেব কিছু দিনের মধ্যে।’