কলকাতা: মেয়রের স্বীকারোক্তি প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে, শাহজাহান যা করেছে, অন্যায় করেছে। ২২ দিন পার। এখনও খোঁজ নেই সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের। এরইমধ্যে এবার ফিরহাদ হাকিমের এ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন করে চাপানউতর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই প্রথম রাজ্যের কোনও হেভিওয়েট মন্ত্রী প্রকাশ্য মঞ্চের পাশাপাশি সাংবাদিকদের দেওয়া প্রতিক্রিয়াতেও স্বীকার করলেন, শাহজাহান যা করেছে তা অন্যায় করেছে। সাফ বললেন, আমি গণমাধ্যমে দেখেছি, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি আধিকারিকদের। যেটা করেছে নিশ্চিত করে বলছি অন্যায় করেছে।
এরপরই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিল, শাহজাহানের কর্মকাণ্ডে লোকসভা নির্বাচনের আগে কি বেকায়দায় শাসক দল? সে কারণেই কি সন্দেশখালীর অত্যন্ত প্রভাবশালী এই নেতার মাথার উপর থেকে হাত তুলতে শুরু করে দিল? অতীতে জনরোষ থেকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে ইডি আধিকারিকদের অত্যাচার, একাধিক তত্ত্ব খাড়া করেছিল শাসকদল। কিন্তু কোনও কিছুই যে শাসকদলের পক্ষে যাচ্ছে না। সেটা বুঝতে পেরেই কি, দলের হেভিওয়েট মন্ত্রীর এই মন্তব্য? উঠছে প্রশ্ন।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, রাজ্যের অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যখন এই মন্তব্য করছেন তার পিছনে নিশ্চিত রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এটা পরিষ্কার, দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দিষ্ট করে সবুজ সংকেত দিয়েছেন শাহজাহান থেকে দলকে ধীরে ধীরে সরে আসার, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যেখানে বারবার করে সন্দেশখালির নেতাকে দলের তরফে বিভিন্নভাবে গার্ড করার চেষ্টা করা হয়েছে, সেখানে আচমকাই এদিনের এই বিস্ফোরক মন্তব্য বিরোধীপক্ষকেও পাল্টা চাপ তৈরি করার রাস্তা করে দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।