আয়ুর্বেদে সবসময় প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। মানসিক চাপ হোক বা পুরুষাঙ্গের সমস্যা, প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদান ব্যবহার করেই সমস্যার সমাধান করা হয়। আয়ুর্বেদে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। তারই মধ্যে জয়জয়কার অশ্বগন্ধার। অশ্বগন্ধাকে কাজে লাগিয়ে একাধিক ওষুধ তৈরি হয় বিশ্বজুড়ে। শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা কমানো থেকে মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক অশ্বগন্ধা। কিন্তু ত্বকের সমস্যায় কি অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ব্রণ দূর করে: অশ্বগন্ধা ব্রণর সমস্যা দূর করতে সহায়ক। অশ্বগন্ধার মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি ত্বকের গভীর গিয়ে পরিষ্কার করে। ময়লা, জীবাণু পরিষ্কার করে ত্বককে ব্রণর হাত থেকে বাঁচায়।
ত্বককে হাইড্রেট রাখে: তৈলাক্ত ও ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্য উপকারী অশ্বগন্ধা। এছাড়া শুষ্ক ত্বকেরও যত্ন নেয় এই উপাদান। অশ্বগন্ধার মধ্যে হাইলুরনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
প্রাকৃতক ময়েশ্চারাইজার: পুরুষ হোক বা মহিলা, যে কারও ত্বকের উপর দুর্দান্ত কাজ করে অশ্বগন্ধা। ত্বককে পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে অশ্বগন্ধা। তাছাড়া অশ্বগন্ধা ব্যবহার করলে ত্বকের অস্বস্তি কমে। এটি ত্বক কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে এবং পুষ্টি জোগায়।
ত্বককে উজ্জ্বল করে: ফর্সা ত্বক পাওয়ার জন্য অনেকেই হলুদ ব্যবহার করেন। হলুদের পাশাপাশি অশ্বগন্ধা ব্যবহার করলেও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়। এই ভেষজ উপাদান ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
স্ক্যাল্পের খেয়াল রাখে: ত্বকের পাশাপাশি চুল ও স্ক্যাল্পের যত্ন নেয় অশ্বগন্ধা। আপনি যদি চুল পড়া, খুশকির সমস্যায় ভোগেন, অবশ্যই অশ্বগন্ধা ব্যবহার করুন। এই উপাদান চুলের ফলিকলকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
চুলের বৃদ্ধি ঘটায়: চুল পড়া রোধ করতে অবশ্যই অশ্বগন্ধা ব্যবহার করুন। নিয়মিত অশ্বগন্ধা ব্যবহার করলে নতুন চুল গজায় এবং চুল দ্রুত বাড়তে থাকে।
ত্বকের যত্নে যেভাবে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করবেন:
যে কোনও উবটানের সঙ্গে অশ্বগন্ধার পাউডার মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আপনার শুষ্ক ত্বক হলে দুধের সঙ্গে অশ্বগন্ধা পাউডার মিশিয়ে মাখুন। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে গোলাপ জলের সঙ্গে অশ্বগন্ধার গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যবহার করুন। স্বাভাবিক ও কম্বিনেশন ত্বক হলে অশ্বগন্ধার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে মাখতে পারেন।