Study Habits: দিনের কোন সময় বাচ্চাদের হোমওয়ার্কের জন্য আদর্শ? রইল টিপস

Jan 12, 2025 | 4:13 PM

Homework for Kids: পড়াশোনায় উন্নতির ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই একটা সুস্থ রুটিন থাকা জরুরি। যাতে পড়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। এতে মনোসংযোগও বাড়ে। অনেক সময় হোমওয়ার্ক বাচ্চাদের কাছে 'বোঝা' হয়ে দাঁড়ায়। স্কুল শেষে এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে, হোমওয়ার্কের জন্য় আর কোনও এনার্জি থাকে না। ভারসাম্যের জন্যই রুটিন থাকা জরুরি।

Study Habits: দিনের কোন সময় বাচ্চাদের হোমওয়ার্কের জন্য আদর্শ? রইল টিপস
Image Credit source: CANVA

Follow Us

বাবা-মায়ের অন্যতম চিন্তা সন্তানের হোমওয়ার্ক। খুবই কমবয়সি বাচ্চাদের হোমওয়ার্কে অনীহা দেখা যায়। কেউ আবার ছটফটে। পড়াটাকে খেলার ছলে ভালোবাসে। হোমওয়ার্কেও ফাঁকি দেয় না। স্কুলেও যথেষ্ট মনোযোগী। প্রত্যেকেই একইরকম হবে তা নয়। বাচ্চাদের হোমওয়ার্কে মা-বাবাও অনেক সময় তিতিবিরক্ত হয়ে যান। কোন সময় সন্তানের হোমওয়ার্কের জন্য আদর্শ? এই প্রশ্নটা অনেকেরই। খুঁজে দেখা যাক এর উত্তর…।

পড়াশোনায় উন্নতির ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই একটা সুস্থ রুটিন থাকা জরুরি। যাতে পড়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। এতে মনোসংযোগও বাড়ে। অনেক সময় হোমওয়ার্ক বাচ্চাদের কাছে ‘বোঝা’ হয়ে দাঁড়ায়। স্কুল শেষে এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে, হোমওয়ার্কের জন্য আর কোনও এনার্জি থাকে না। ভারসাম্যের জন্যই রুটিন থাকা জরুরি।

সন্তানের হোমওয়ার্কের জন্য সেরা সময় কোনটা, সেটা অভিভাবকদেরই খুঁজে বের করতে হবে। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক। সঠিক সময় একবার বুঝে উঠতে পারলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে। শিশুদের মধ্যে চাপও কম পড়বে, তারা অনেক বেশি মনোযোগ দিয়ে হোমওয়ার্ক করতে পারবে।

এই খবরটিও পড়ুন

স্কুল থেকে ফিরে! অনেক বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্কুল থেকে ফিরেই হোমওয়ার্কে বেশি স্বচ্ছন্দ তারা। এর অন্যতম কারণ, যেটা স্কুলে শিখে এসেছে, যাতে ভুলে না যায়, বাড়ি ফিরেই তাই হোমওয়ার্ক কমপ্লিট করে ফেলে। তবে এর মাঝে ছোট্ট একটা বিরতি আরও বেশি ফলপ্রসু হতে পারে।

হোমওয়ার্কের আগে স্বাস্থ্যকর খাবার। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্বাস্থ্যকর টিফিনের পর হোমওয়ার্ক করতে বেশি স্বচ্ছন্দ। এর ফলে যেমন শারীরীক ভাবে স্ফূর্তি থাকে, তেমনই মানসিক ভাবেও চাঙ্গা থাকে বাচ্চারা। যা তাদের হোমওয়ার্কে মনোসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

অনেকের ক্ষেত্রে হোমওয়ার্কের আদর্শ সময় হতে পারে, ঘুম ভাঙার আধঘণ্টা পর। সে সময় মস্তিষ্ক তরতাজা থাকে। শিশুরা অনেক বেশি মনোসংযোগ করতে পারে। ভালো ঘুমের পর পড়ায় মন দেওয়াতে আগ্রহও বাড়ে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে বিকেল থেকে সন্ধের সময়টা (৪-৬) আদর্শ হতে পারে। অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ সময় তাদের মধ্যে বেশি এনার্জি থাকে। স্কুল থেকে ফিরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে হোমওয়ার্কে বেশি স্বচ্ছন্দ তারা।

ভারী খাবারের পর একেবারেই নয়। এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ভারী খাবারের পর শিশুর শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। তাদের ঘুম ঘুম ভাবও থাকতে পারে। তাই একটা বিরতি অবশ্যই প্রয়োজন। তেমনই ঘুমোতে যাওয়ার আগে হোমওয়ার্কও এড়ানো ভালো। হোমওয়ার্কের ফলে তাদের মস্তিষ্কে অনেকটা চাপ পড়তে পারে। এরপরই ঘুমের সময় হলে অস্বস্তি। হয়তো সেই চাপের কারণে ঘুমে প্রভাব পড়ল। ঘুমনোর সময়ের অন্তত আধঘণ্টা আগে হোমওয়ার্ক কমপ্লিট হয়ে গেলে বাকি টাইমটা চাপ মুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকছে।

একদম শিশুদের ক্ষেত্রে সকালের দিকটা আদর্শ সময় হতে পারে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় তারা। মানসিক ভাবেও অনেক বেশি তরতাজা থাকে। হোমওয়ার্কেও মনোসংযোগ করতে পারে। তবে প্রত্যেকে যেহেতু আলাদা হয়, তার কোন সময়টা প্রিয় সেটা খুঁজে পাওয়া খুবই জরুরি। কেউ হয়তো ভোরে বেশি স্বচ্ছন্দ, আবার কেউ রাতে। শিশুদের সেই দিকটা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া শ্রেয়।

Next Article