ফলের রস নাকি গোটা ফল, শরীরের একাধিক রোগ মোকাবিলায় কার পাল্লা ভারী?
Health Tips: ফল সুস্বাদু, তাজা এবং ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও থাকে। তবে একটা সাধারণ প্রশ্ন অনেকের মনেই রয়েছে, তা হল ফল বেশি উপকারী নাকি ফলের রস? এই দুটির মধ্যে আপনার কোনটিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
শরীরকে সচল ও ফিট রাখতে বহু মানুষই প্রায় প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ফল রাখেন। ফল সুস্বাদু, তাজা এবং ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও থাকে।
তবে একটা সাধারণ প্রশ্ন অনেকের মনেই রয়েছে, তা হল ফল বেশি উপকারী নাকি ফলের রস? এই দুটির মধ্যে আপনার কোনটিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
পুষ্টিবিদ বিশেষজ্ঞদের মতে, একসঙ্গে অনেকগুলো ফল পেস্ট করে রস বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। শুনে অবাক হলেন তো? আসলে এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদ বিশেষজ্ঞ। যদি লেবু খেতে ভালবাসেন, সেক্ষেত্রে রস করে খেতে পারেন।
এক গ্লাস মিশ্র ফলের রসে (অর্থাৎ অনেকগুলো ফলের রস একসঙ্গে) ফ্রুট চাট হোক বা কিছু রক সল্ট মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন অযথা চিনি না খাওয়ার। কারণ ফলে প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকে।
তবে গোটা একটা ফল খেলে শরীরে প্রচুর ফাইবার সরবরাহ হয়। আর সেই সব ফাইবার হজমের উন্নতি করতে এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। কিন্তু রস করে ফেলে সেই উপকারীতা অনেকটাই কমে যায়।
তাজা ফল চিবিয়ে খেলে শরীরে প্রচুর ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিক্যাল সরবরাহ করে। সেই সঙ্গে আপনি যদি রোজের ডায়েটে একটি করে ফল রাখতে পারেন, তাহলে তা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও কমাবে।
মনে রাখবেন, ফলমূল ও শাকসবজি খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি যোগায়। এছাড়াও ফল খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। ফলগুলিতে ক্যালোরি কম থাকে। কিন্তু আপনি যদি রস করে তাতে চিনি দিয়ে শরবত করে খান, সেক্ষেত্রে তার ক্যালোরি আপনি নিজেই বাড়িয়ে দেবেন।
যে ফলগুলি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে বেরি, আপেল, নাশপাতি, সাইট্রাস ফল এবং আঙ্গুর। তাই শুধু ফলের রস খেলে ফলের সমস্ত পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার আপনার শরীরে পৌছায় না। ফলে চেষ্টা করবেন গোটা ফল খাওয়ার।
