গলার স্বর পালটে যাচ্ছে, ব্যথা অনুভাব করছেন? ক্যান্সার নয়তো, বুঝবেন কী ভাবে?
Throat Cancer: গলার ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল স্বরে হঠাৎ পরিবর্তন। যদি কেউ দীর্ঘদিন ধরে গলার স্বর ভেঙে যাওয়া, কর্কশ হয়ে যাওয়া বা স্বরের গভীরতা হ্রাস পেতে দেখেন, তবে এটি ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।
গলার ক্যান্সার বা ল্যারিনজিয়াল ক্যান্সার এমন একটি মারাত্মক রোগ যা গলার টিস্যুতে বা গলার আশপাশের অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে। ক্যানসারের অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির কারণে হয় এই ঘটনা। এই ক্যান্সার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত না হয়, তবে তা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই গলার ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কী করে সাবধান হবেন?
গলার ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল স্বরে হঠাৎ পরিবর্তন। যদি কেউ দীর্ঘদিন ধরে গলার স্বর ভেঙে যাওয়া, কর্কশ হয়ে যাওয়া বা স্বরের গভীরতা হ্রাস পেতে দেখেন, তবে এটি ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।
সাধারণ ঠান্ডা বা সংক্রমণজনিত কারণে গলা ব্যথা হতে পারে, কিন্তু যদি এই ব্যথা দুই সপ্তাহের বেশি সময় স্থায়ী হয় এবং ওষুধেও উপশম না হয়, তাহলে তা গলার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
খাবার বা তরল গিলতে ব্যথা অনুভব হলে বা গলা দিয়ে খাবার নামতে সমস্যা হলে, সেটিও উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এটি অনেক সময় গলার ভেতরে টিউমার তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
গলার ক্যান্সারের প্রভাবে আশপাশের স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হলে কানে ব্যথা অনুভূত হতে পারে, যদিও কান সংক্রমণের কোনো লক্ষণ না থাকে।
ঘাড়ে বা গলার পাশে কোনো অস্বাভাবিক ফোলা বা গাঁট অনুভব করা হলে, তা ক্যান্সার কোষের বিস্তারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি সেই গাঁট ব্যথাহীন হয় এবং ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া অনেক সময় ক্যান্সারের লক্ষণ। গলার ক্যান্সারে খাবার খাওয়া কষ্টকর হওয়ায় এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকা, বিশেষ করে কাশির সঙ্গে রক্ত এলে, তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই রকম ঘটলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নাহলে ছোট থেকে কখন তা আপনার মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠবে বোঝা মুশকিল। ছবি - Getty Images
