খিচুড়ি তো সকলেই করেন। কিন্তু, খিচুড়িতে ক্যালোরি বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। ফলে অনেকেই খিচুড়ি এড়িয়ে চলেন। তবে এই পদ্ধতিতে কিমা দিয়ে খিচুড়ি করলেও ক্যালোরি বাড়বে না
বৃষ্টি শুরু হয়েছে অঝোরে। আর এই বৃষ্টিতে মন চায় খিচুড়ি। কিন্তু, যাঁরা দেহের ওজন নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাঁরা ইচ্ছা হলেও খিচুড়ি খেতে পারেন না। তবে এই রেসিপিতে খিচুড়ি করলে চিন্তা নেই
কম ক্যালোরির কিমা খিচুড়ি বানাতে লাগবে ডালিয়া, মুসুর ডাল, মাংসের কিমা, সয়া তেল, টমেটো কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা, আদা বাটা, রসুন বাটা, গোটা জিরে, গরম মশলা, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো এবং স্বাদমতো নুন। ইচ্ছা হলে বিনস, গাজর, বাঁধাকপি, কড়াইশুটি দিতে পারেন
মশলার সঙ্গে সবজি, ডালিয়া, ডাল হালকা নাড়িয়ে কড়াই থেকে প্রেসার কুকারে ঢেলে চাপা দিন। প্রেসার কুকারের ২-৩টি হুইসল পড়লে আঁচ নিভিয়ে ৫-১০ মিনিট ভাপে সেদ্ধ করুন। ব্যস, তৈরি কম ক্যালোরির কিমা খিচুড়ি। এটা খেতেও সুস্বাদু এবং ক্যালোরিও বাড়বে না
খিচুড়ি মানেই চাল-ডালের পাক। এছাড়া সাবুর খিচুড়ি, ডালিয়ার খিচুড়ি, ওটসের খিচুড়িও অনেকে করে থাকেন। এবার ডালিয়া আর ডাল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন কম ক্যালোরির কিমা খিচুড়ি
কড়াইয়ে তেল গরম করে জিরে ফোড়ন দিন। তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিন। পেঁয়াজ লালচে হয়ে এলে তার মধ্যে আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। পেঁয়াজের সঙ্গে আদা-রসুন বাটা ভাল করে ভাজা হলে টমেটো কুচি দিয়ে খানিকক্ষণ নাড়ুন
পেঁয়াজ হালকা লাল হলে তার মধ্যে আদা, রসুন বাটা দিয়ে অল্প কষিয়ে নিন। মশলা ভাল করে কষিয়ে নেওয়ার পর কড়াইয়ে জল ঝরানো চাল ও ডাল দিয়ে একটু নাড়ুন। তারপর স্বাদমতো নুন ও পরিমাণমতো জল দিয়ে কড়াইয়ে ঢাকা দিন
চাল, ডাল ১০-১৫ মিনিট পর সেদ্ধ হওয়ার পর ঢাকনা খুলে হালকা করে নেড়ে দিন। তারপর কাঁচা লঙ্কা চিরে দিয়ে আবার ঢাকা দিন। আঁচ কমিয়ে ১৫ মিনিট ফোটান। তারপর ভাল গন্ধ বেরোলে নামিয়ে নিন। তৈরি সাদা পোলাও-খিচুড়ি। এবার আলুরদম বা কোনও সবজির সঙ্গে পরিবেশন করুন