কথিত আছে, সব একাদশীর মধ্যে সেরার সেরা একাদশী হল নির্জলা একাদশী। একে আবার ভীমসেনী একাদশীও বলা হয়। হিন্দু ধর্মে প্রতিটি একাদশীর মাহাত্ম্য রয়েছে, তবে নির্জলা একাদশী হল বিশেষ ও অন্যতম। মহাভারতের কাহিনি অনুসারে, পঞ্চ পাণ্ডবের ভীম নির্জলা একাদশী ব্রত পালন করেছিলেন। তাই এই একাদশীর নাম ভীম একাদশী। এবছর শ্রেষ্ঠ নির্জলা একাদশী পালিত হচ্ছে ১৮ জুন। বছরের সেরার সেরা একাদশীর দিন বিষ্ণু তথা লক্ষ্মী-নারায়ণের পুজো করা হয়। বিশেষ আচারবিধি মেনে, এক ফোঁটা জল না পান করে এই একাদশী পালন করা হয়।
মনে করা হয়, বছরের সব একাদশী ব্রত পালন করা না হলেও এই একাদশীর দিন কখনও মিস যেন না করা হয়। একাদশীর উপবাস করার পাশাপাশি বিষ্ণুর আরতি ও ব্রত পাঠও করা হয়। এদিন একাদশীর উপবাস রাখা উচিত। এছাড়া এদিন একাদশীর দিন বিষ্ণু চালিশাও পাঠ করাও দরকার। বিষ্ণু নারায়ণের আরতি ও বিষ্ণু চালিশা পড়া পুণ্যলাভের সমান বলে মনে করা হয়।
ওম জয় জগদীশ হরে: ভগবান বিষ্ণুর আরতি
ওং জয় জগদীশ হরে
স্বামী জয় জগদীশ হরে
ভক্ত জনোং কে সংকট,
দাস জনোং কে সংকট,
ক্ষণ মেং দূর করে,
ওং জয জগদীশ হরে ॥
জো ধ্যাবে ফল পাবে,
দুখ বিনসে মন কা
স্বামী দুখ বিনসে মন কা
সুখ সম্মতি ঘর আবে,
সুখ সম্মতি ঘর আবে,
কষ্ট মিটে তন কা
ওং জয জগদীশ হরে ॥
মাত পিতা তুম মেরে,
শরণ গহূং মৈং কিসকী
স্বামী শরণ গহূং মৈং কিসকী .
তুম বিন ঔর ন দূজা,
তুম বিন ঔর ন দূজা,
আস করূং মৈং জিসকী
ওং জয জগদীশ হরে ॥
তুম পূরণ পরমাত্মা,
তুম অংতরযামী
স্বামী তুম অংতরযামী
পরাব্রহ্ম পরমেশ্বর,
পরাব্রহ্ম পরমেশ্বর,
তুম সব কে স্বামী
ওং জয জগদীশ হরে ॥
তুম করুণা কে সাগর,
তুম পালনকর্তা
স্বামী তুম পালনকর্তা,
মৈং মূরখ খল কামী
মৈং সেবক তুম স্বামী,
কৃপা করো ভর্তার
ওং জয জগদীশ হরে ॥
তুম হো এক অগোচর,
সবকে প্রাণপতি,
স্বামী সবকে প্রাণপতি,
কিস বিধ মিলূং দযাময,
কিস বিধ মিলূং দযাময,
তুমকো মৈং কুমতি
ওং জয জগদীশ হরে ॥
দীনবংধু দুখহর্তা,
ঠাকুর তুম মেরে,
স্বামী তুম রমেরে
অপনে হাথ উঠাবো,
অপনী শরণ লগাবো
দ্বার পড্ক্ষা তেরে
ওং জয জগদীশ হরে ॥
বিষয বিকার মিটাবো,
পাপ হরো দেবা,
স্বামী পাপ হরো দেবা,
শ্রদ্ধা ভক্তি বঢাবো,
শ্রদ্ধা ভক্তি বঢাবো,
সংতন কী সেবা
ওং জয জগদীশ হরে ॥