ভ্য়াপসা গরমে রাতে ঘুম আসতে সময় লাগে অনেকটা। গত দুদিন ধরে হালকা বৃষ্টিতে হালকা স্বস্তি মিললেও গরম কিন্তু কাটেনি। গরম ও অনিদ্রার কারণে শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে তরতরিয়ে। ভালো ও গভীর ঘুম হওয়া প্রতিটি মানুষেরই হওয়া উচিত। অনিদ্রার মতো সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর ভাল ঘুম না হলে মন ও মেজাজটা যায় বিগড়ে। খিটখিটে মেজাজ নিয়ে কখনও কোনও কাজ সফল হয় না। বাস্তুশাস্ত্র ও জ্যোতিষশাস্ত্র দৃষ্টিকোণ থেকে এই চরম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব সহজ প্রতিকার রয়েছে। উভয় শাস্ত্রেই উল্লেখ রয়েছে, ঘুমানোর সময় বিছানার পাশে কিছু সাধারণ কিন্তু অসাধারণ কাজের কয়েকটি জিনিস রাখলে চটজলদি উপকার পেতে পারেন। সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তেমনি ইতিবাচক প্রভাবও পড়ে।
মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও অর্থভাগ্য বজায় থাকে, তার জন্য রোজ রাতে ঘুমানোর আগে বিছানার পাশে কী কী জিনিস রাখতে পারেন, তা জেনে নেওয়া উচিত…
দাম্পত্য জীবনে প্রেম: ঘুমোতে যাওয়ার আগে যে কোনও সুগন্ধি ফুল বালিশের কাছে রাখতে পারেন। ঘরের বাতাসকে শুদ্ধ করতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি শুক্রের প্রভাবকেও বাড়িয়ে তোলে। তাতে মানসিক শান্তি ঘটে, ভালও ঘুম হয়। দাম্পত্য প্রেমেও তুফান ওঠে এই পরিবেশে। সম্পর্কগুলি আরও মজবুত হয় ধীরে ধীরে।
স্বাস্থ্যকর: ঘুমানোর সময় আপনার বিছানার কাছে একটি তামার পাত্রে জলে ভরে রেখে দিন। সেই জল সকাল হতেই গাছের টবে বা বাগানের গাছে নীচে ঢেলে দিন। তাতে স্বাস্থ্য থাকবে ভাল, মন ও মেজাজও থাকবে সুস্থ-স্বাভাবিক।
ভয়ঙ্কর স্বপ্ন: অনেকসময় স্বপ্নের মধ্যে বাচ্চা থেকে বুড়ো, আচমকা ঘুম ভেঙে যায়, জেগে উঠে কান্না করার ঘটনা ঘটে। ঘুমের ঘোরে অদ্ভূত বা ভয়ের স্বপ্ন দেখলে এমনটা ঘটতে থাকে। তবে এই ঘটনা যদি বার বার হতে থাকে, তাহলে বালিশের নীচে একটি ছুরি, কাঁচি বা লোহার তৈরি কিছু রাখতে পারেন। একটি চুল বাধার ক্লিপও রাখতে পারেন। এই প্রতিকার মেনে চললে ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখা সমস্যা দূর হতে পারে। একই সময়ে ঘুমানোর সময় একটি পাত্রে রক সল্ট ও এক টাকার কয়েন রেখে বিছানার কাছে রেখে দিতে পারেন। অনেক উপকার পেতে পারেন।
অর্থ প্রাপ্তি: কর্মক্ষেত্রে বা ব্যবসায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেও যদি অর্থপ্রাপ্তি না ঘটে, তাহলে প্রতি রবিবার এক গ্লাস দুধ বিছানার কাছে রেখে দিন পরের দিন সকালে স্নান করে বাবলা গাছের গোড়ায় এই দুধ ঢেলে দিতে হবে। এতে আপনার অর্থযোগ ঘটবে খুব তাড়াতাড়ি।
অন্যান্য: জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয়, বালিশের নিচে মৌরির বীজ রেখে ঘুমোলে রাহুদোষ কেটে যায়। দুঃস্বপ্নের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের অনিদ্রাজনিত রোগ বা সমস্যা রয়েছে, তারা বালিশের নিচে সবুজ এলাচ রেখে ঘুমোন। গভীর ঘুম হবেই হবে।